সংক্ষিপ্ত

বাগুইআঁটি জোড়া খুনে মাস্টার মাইন্ড হিসাবে সত্যেন্দ্রর নাম করছে পুলিশ। এমনকী খুন হওয়া দুই কিশোরের পরিবারও একই অভিযোগ করেছেন। কী কারণে এই জো়ড়া খুন তা সতেন্দ্র ভালো করেই জানে বলে মনে করছে পুলিশ। 

বাগুইআটিতে জোড়া খুনের সন্দেহজনক মাস্টার মাইন্ড সত্যেন্দ্র চৌধুরিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিধাননগর থানার একটি দল হাওড়া স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পলাতক অফরাধীকে গ্রেফতার করতে ছদ্মবেশ ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশ। তারা অন্য যাত্রীদের মতো সাধারণ পোষাক পরে সত্যেন্দ্রর জন্য অপেক্ষা করছিল। তাদের ছদ্মবেশ সফল হয় এবং মাস্টার মাইন্ড সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারী অফিসারদের মতে সতেন্দ্র ট্রেনে করে অন্য রাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল। এই নাটকীয় ঘটনার পর তাঁকে বিধাননগর কমিশনারেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

বাগুইআটির দুই ছাত্র অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে হত্যার ঘটনায় মূল চক্রী সত্যেন্দ্র বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর। অতনুর তুতো ভাই অভিষেক। দুই স্কুল পড়ুয়া গত ২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ। বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। পুলিশের কাছে অতনুর বাবা অভিযোগ করেন, তিনি বেশ কয়েক বার মুক্তিপণ চেয়ে ফোন ও মেসেজ পেয়েছেন। ২৪ অগস্ট থেকে দুই কিশোরের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এরপরই প্রকাশ্যে আসে অতনুদের পাশের বাড়ির ‘জামাই’ সত্যেন্দ্র চৌধুরির নাম। জানা যায়, অতনু নিজের বাইক কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল সত্যেন্দ্রকে। সত্যেন্দ্র বাইক দেখানোর নাম করেই তাকে ডেকে পাঠায় ২২ অগস্ট রাতে। অতনু তার সঙ্গে অভিষেককে বাইক দেখাতে নিয়ে যায়। সেই রাতেই তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। ২৩ অগস্ট ন্যাজাট থানা এলাকায় এবং ২৫ অগস্ট হাড়োয়ায় উদ্ধার হয় অতনু এবং অভিষেকের দেহ।

পুলিশের হাত থেকে তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিআইডি। তারা সেই অতিথিশালায় তদন্ত করে যেখানে অপরাধী এই জঘন্য অপরাধের পরিকল্পনা করেছিল এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িটিও তারা বিশ্লেষণ করেন। স্থানীয় পুলিশও তাদের সাহায্য করেছে এবং তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অপরাধীকে ধরে ফেলে।

আরও পড়ুন-
বাগুইআটিতে নিহত ছাত্রদের বাড়িতে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধাননগরের সিপি, তদন্তে নামলেন সিআইডি কর্তারাও 
মা কেন ‘অশুচি’?  লালবাগান সার্বজনীনের পুজোয় এবছর একেবারে ভিন্ন রূপে দুর্গার উপাখ্যান
গুটিকয়েক বন্ধু মিলে শুরু হয়েছিল পুজো, হাটখোলা গোঁসাইপাড়ার দুর্গা আরাধনার ‘যাত্রাপথ’ এবছর পা দিচ্ছে ৮৬ বছরে