সংক্ষিপ্ত
মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়া এবং অভিষেকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগেই কুণালের স্বপ্নের মাটিতে বাউন্সার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ফের কুনালের তোপের মুখে পড়লেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা।
মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়া এবং অভিষেকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগেই কুণালের স্বপ্নের মাটিতে বাউন্সার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একে বিজেপির যোগের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীত্ব আসবে অধিকারী পরিবারে। বাংলা মুখ্যমন্ত্রী হবে শুভেন্দু, কানাঘুষো আলোচনার ঝড়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন বিজেপির হেভিওয়েট তথা বর্তমানে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই স্বপ্নে জল সরবারহ করেছে ঘাসফুল শিবির। যাওবা মেদিনীপুরে মমতার বিরুদ্ধে পদ্ম ফুঁটিয়েছেন, তাও মুখ্যমন্ত্রী আর হওয়া হয়নি শুভেন্দু। কারণ চিরকালের ভবানীপুর মমতার হাত ছাড়েনি। এদিকে গোটা রাজ্যের বিজেপির ফল মোটেই আশানুরূপ হয়নি। যা নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই শুভেন্দুদের। এদিকে তার উপর শুরু হয়েছে, একের পর এক দলত্যাগের ঘটনা। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতে কুণাল ঘোষ হাসিমুখে বলেছেন, '২০৩৬ সাল অবধি বাংলা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি, তারপর শপথ নেবেন অভিষেক'। স্বাভাবিকভাবেই পদ্ম শিবিরে এরপর কার আর মেজাজ ঠিক থাকে। কুণালের ভবিষ্যতবানী নুনের মতো ছড়িয়ে পড়লেও , কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ফের কুনালের তোপের মুখে পড়লেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয়বারের সরকারের জয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে সোমবার কুণাল বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল অবধি বাংলা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মতো উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রীত্বে জ্য়োতি বসুর রেকর্ড ভেঙে ভারতে নজির গড়বেন মমতাদি'। এরপর একটু থেমে আবার পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথাও জানিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেছেন, 'তবে তাঁর মধ্যে যদি দিল্লির এবং দেশের দায়িত্ব নিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি তো আরেকরকম হবেই।' এরপরেই মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কুণালের ভবিষ্যতবাণীর পর শুভেন্দু অধিকারী প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, 'যেদিন স্যান্ডো গেঞ্জির বুকপকেট হবে, সেদিন উনি প্রধানমন্ত্রী হবেন।' ব্যাস আর কি, বাকযুদ্ধ লেগে যায় এরপরেই দুই পক্ষের।
এরপরেই শুভেন্দুকে গেঞ্জির কথাকে সামনে রেখেই শুভেন্দুর নের্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এতদিন ধরে বলে আসছি, আর এবার নিজেই গেঞ্জি দেখিয়ে আমার কথা মান্যতা দিল শুভেন্দু। প্রথম থেকেই শিশির অধিকারির ছায়ায় এবং মমতাদির দয়ায় রাজনীতিতে উঠেছিল। এখন একের পর এক ভোটে হেরে মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে প্রবল মানসিক অবসাধে ভুগছেন। সব দেখছি গেঞ্জি দেখিয়েছে', এরপর যে কী হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন, শুভেন্দু বসায় ভেঙে পড়েছিল খাট, ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার পরিবারকে নতুন করে কিনে দিল তৃণমূল
আরও পড়ুন, নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন প্রশান্ত কিশোর, সাতসকালেই বড় ইঙ্গিত পিকে-র টুইটে