সংক্ষিপ্ত
উত্তম মণ্ডল নামে এক দাবি অপরাধী দীর্ঘ দিন ধরেই এই এলাকায় রাজ করছে। কিন্তু তার প্রভাব মানতে রাজি নয় বাচ্চা নামে আরেক সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর নেতা।
সিন্ডিকেট বিবাদকে কেন্দ্র করে আবাও রক্ত ঝরল কলকাতায়। মঙ্গলবার ভরদুপুরবেলা বাঁশদ্রোনিতে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। আহত ব্যক্তি মলয় দাস। তিনি কোনো সিন্ডিকেটের সদস্য নয় বলেও জাবি করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বাঁশদ্রোনীর ব্রহ্মপুরে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ চলছিল দুই সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর। এদিন দুই গোষ্ঠীর সংঘাত মারাত্মক আকার নেয়। সেই সময়ই এক পক্ষ গুলি চালায়। পরপর সিন্ডিকেট বিবাদের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রীতিমত আতঙ্ক বাড়ছে শহরে।
ব্রহ্মপুর একটি শান্ত এলাকা বলে পরিচিত ছিল। এই এলাকায় নতুন নতুন বাড়ি ও ফ্ল্যাট তৈরির কাজ চলছে জোরকদে। আর সেই সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সিন্ডিকেট রাজ। জমি বাড়ি বিক্রি ও আবাসন নির্মাণ সামগ্রী কেচাবেচাও ভালোমত হচ্ছে। সেইসূত্র ধরেই সিন্ডিকেটগুলির হাতে আছলে প্রচুর টাকা।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, উত্তম মণ্ডল নামে এক দাবি অপরাধী দীর্ঘ দিন ধরেই এই এলাকায় রাজ করছে। কিন্তু তার প্রভাব মানতে রাজি নয় বাচ্চা নামে আরেক সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর নেতা। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই উত্তম গোষ্ঠীর সঙ্গে এদিন বাচ্চার গোষ্ঠীর সদস্যদের বিবাদ শুরু হয়। তবে পুলিশ আসার আগেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর দীর্ঘ দিন ধরেই উত্তমকে খুঁজছে পুলিশ। এদিনও তাকে হাতের নাগালে পায়নি পুলিশ।
এর আগে সোমবার লেকগার্ডেন্স এলাকায় সিন্ডিকেটের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাধে। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর বাড়ির কাছেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল দুই গোষ্ঠী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাঁকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। যে বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে বিবাদ শুরু হয়েছিল সেই বাড়ি ভাঙা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে সৌগত রায়ের অনুরোধে।
তার আগে বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার রাতে সিন্ডিকেট বিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বেহালা। চড়ক মেলার দখলদারীকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। সেই ঘটনায় জখম হয়েছিল বেশ কয়েক জন।
শুধু কলকাতা নয়, শহরতলীতেও সিন্ডিকেট রাজের রমরমা বেড়েছে। সেখানেই ইমারত ব্যবসায়ীদের মধ্যে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝেই সমস্যা তৈরি হয়। তবে সল্টলেক বিধাননগর এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ তুঙ্গে বলেও অভিযোগ করেন ্স্থানীয়রা। সিন্ডেকেট রাজে একাধিকবার নাম জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল নেতাদের। যা নিয়ে দলে অস্বস্তি বাড়তেই থাকে।
ভারতের নতুন সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে, হাতের তালুর মতই চেনেন চিনা সীমান্ত এলাকা
ভগবান গণেশের মূর্তি ভুলেও ঘরের মধ্য়ে এমনভাবে রাখবেন না, সিদ্ধাদাতার ছবি নিয়েও সতর্ক হন
মঙ্গলবারে দেশে কোভিড আক্রান্তের হার কমলেও সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ, মৃত্যুর সংখ্যায় স্বস্তি