সংক্ষিপ্ত
- বিমানবন্দরের ট্যাক্সি বে-তে এই প্রথমবার লেভেল ক্রসিং বসতে চলেছে
- এবার ট্যাক্সিবেকে বাড়িয়ে প্রধান রানওয়ের উত্তর দিকে যোগ করা হবে
- যাতে প্রধান রানওয়ে থেকে সরাসরি ট্যাক্সি বে তে বিমান যেতে পারবে
- ট্যাক্সি বে ও মসজিদের রাস্তার সংযোগস্থলে বসানো হবে লেভেল ক্রসিং
বিমানবন্দরের ট্যাক্সি বে-তে এই প্রথমবার লেভেল ক্রসিং বসতে চলেছে। কলকাতা বিমানবন্দরে রানওয়ের উত্তরদিকে মসজিদ থাকায় এতদিন পর্যন্ত, প্রধান রানওয়ে থেকে বিমান ট্যাক্সি বে-তে যেতে গেলে দ্বিতীয় রানওয়েতে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখতে হত। আর এবার মসজিদের রাস্তায় লেভেল ক্রসিং বসানোর মাধ্য়মে প্রধান রানওয়ের সঙ্গে সরাসরি ট্যাক্সি বে যোগ করা হবে।
আরও পড়ুন, অভিনব কায়দায় জাল নোট পাচারের চেষ্টা, সোয়েটারের ভিতর থেকে উদ্ধার তিন লক্ষ টাকা
ট্যাক্সি বে বাড়াতে এবার লেভেল ক্রসিং তৈরি করতে চলেছে কলকাতা বিমানবন্দর। এতদিন প্রধান রানওয়ে থেকে বিমান ট্যাক্সি বে-তে নিয়ে যাওয়ার সরাসরি তেমন কোনও রাস্তা ছিল না। দ্বিতীয় রানওয়েতে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রেখে পৌঁছতে হত ট্যাক্সি বে-তে । দ্বিতীয় রানওয়ের উত্তরদিকে রয়েছে একটি মসজিদ। সে কারণে দ্বিতীয় রানওয়ে উত্তর দিকে বাড়ানো যায়নি। এবং বাড়ানো যায়নি ট্যাক্সি বেও। এবার ট্যাক্সিবেকে বাড়িয়ে প্রধান রানওয়ের উত্তর দিকে যোগ করা হবে। যাতে প্রধান রানওয়ে থেকে সরাসরি ট্যাক্সি বে তে বিমান যেতে পারবে। বাঁকড়ার দিক দিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকার গেট থেকে মসজিদ পর্যন্ত যে রাস্তা আছে, সেখানে ট্যাক্সি বে ও মসজিদের রাস্তার সংযোগস্থলে দুদিকে বসানো হবে লেভেল ক্রসিং।
আরও পড়ুন, বাসের ভাড়া ন্যূনতম ৯ টাকা করার দাবি, ফের আন্দোলনে নামবে মালিকপক্ষ
সব মিলিয়ে এবছর কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য় পরিষেবা অনেকটাই বাড়ানো হল। উল্লেখ্য়, একদিকে ট্যাক্সি বে-তে এই প্রথমবার লেভেল ক্রসিং অপরদিকে ফেস রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ মুখ দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন হবে। তারপর অনায়াসে ঢোকা যাবে কলকাতা বিমানবন্দরে। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে চালু হতে চলেছে ডিজি যাত্রা পরিষেবা। বিমানবন্দরে প্রবেশ থেকে বিমানে ওঠা পর্যন্ত বায়োমেট্রিক তথ্য়ই যাত্রীর পরিচয়। বিমানযাত্রীর কাছের থেকে তার তথ্য় চেক করবে ডিজিট্য়াল পদ্ধতি এবং সেখানেই একই সঙ্গে ফেস রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এক্ষেত্রে কোনও প্রয়োজন নেই কোনও কাজগপত্রের। তাই শুধু মুখ দেখিয়েই ঢোকা যাবে কলকাতা বিমানবন্দরে। মূলত এই ডিজিট্য়াল পদ্ধতি বাঁচাবে অনেকটা পরিমানে সময়। বিমানযাত্রীদের বহু সময় ধরে আর লাইনে দাড়াতে হবে না।