সংক্ষিপ্ত
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ১৫ দিন বৃষ্টিপাতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রাও মোটের উপর একই থাকবে রাজ্য। এ ক্ষেত্রে খুব একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।
গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। কিছুতেই যেন শান্তি পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে উঠে থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে অস্বস্তি। সকাল থেকেই আকাশে দেখা মিলছে রোদের। আর তারপর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে চাঁদিফাটা গরম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরমের পরিমাণও। তার সঙ্গে রয়েছে অস্বস্তিও। চৈত্র মাসেই রাজ্যবাসীর অবস্থা রীতিমতো নাজেহাল। এরই মধ্যে আবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ৩১ মার্চ থেকে দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাপপ্রবাহ চলবে পশ্চিমের বেশকিছু জেলায়। তার জেরে গরম আরও বাড়বে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ১৫ দিন বৃষ্টিপাতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রাও মোটের উপর একই থাকবে রাজ্য। এ ক্ষেত্রে খুব একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। এদিকে পশ্চিমের চার জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। তাপমাত্রা পৌঁছবে চল্লিশের ঘরে।
আরও পড়ুন- 'গ্যাসের দাম বাড়িয়ে নজর ঘোরাতে নিজেরাই আগুন লাগিয়েছে', পাহাড়ে গিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার
এই গরমের হাত থেকে রেহাই এখনই মিলবে না। কারণ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। শুধুমাত্র বীরভূম, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এখন কোনও নতুন ওয়েদার সিস্টেমও নেই। শুধুমাত্র বিহারের উপর একটা ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এর প্রভাব পড়বে সরাসরি উত্তরবঙ্গে। তাই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হবে।
আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হবে। ২৪ ঘণ্টা পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বেশি বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহারে। আর অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা হু হু করে বাড়বে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়াবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সেখানে কিছুটা হলেও গরমের হাত থেকে রেহাই মিলছে। কিন্তু, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কোনও রেহাই মিলছে না। চাঁদিফাটা গরমে ওষ্ঠাগত হচ্ছে প্রাণ। আর তার সঙ্গে রয়েছে ভ্যাপসা গরম। সন্ধের পর থেকে একটু হলেও স্বাভাবিক হচ্ছে তাপমাত্রা। কিন্তু, তাতেও গরমের পরিমাণ কমছে না। শুধু সন্ধের দিকে কিছুটা হলেও হাওয়া পাওয়া যাচ্ছে। আর তার সঙ্গে আবার জুড়তে চলেছে তাপপ্রবাহ। এর ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তার জেরে চৈত্রের অস্বস্তি আরও বেশি করে বাড়বে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।