সংক্ষিপ্ত

টেট দুর্নীতিতে নাম জড়ালো ব্রাত্য বসুর। কলকাতা হাইকোর্টে টেট দুর্ণীতির অভিযোগে ফের নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে।

টেট দুর্নীতিতে নাম জড়ালো ব্রাত্য বসুর। কলকাতা হাইকোর্টে টেট দুর্ণীতির অভিযোগে ফের নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, টেট সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা নিয়েও মামলা হয়েছে আগেই। এবার ফের টেট দুর্ণীতির অভিযোগে নতুন করে আরও একটি মামলা হল হাইকোর্টে। সিবিআই এং ইডি দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা যাতে যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত করে, সেই আবেদন জানানো হয়েছে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস ঘোষ এই মামলা করেছেন। এবার এই মামলায় সরাসরি অভিযোগ উঠেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে। ব্রাত্য বসুও এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার গৃহিত হল সেই মামলা। চলতি সপ্তাহেই সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অভিযোগ ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে যে নিয়োগ হয়েছে, তা দুর্নীতিপূর্ণ। মামলাকারী তাঁর আবেদনে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সংবাদমাধ্যমের সামনে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু অনিয়মের কথা বলেছেন। মামলাকারীর আরও দাবি, সম্প্রতি দমদমের তৃণমূল নেতা রাজু সেন শর্মা প্রকাশ্য সভায় দাবি করেছেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সুপারিশে ৩০০ জন চাকরি পেয়েছেন। এমনকি ব্রাত্য বসুর বক্তব্যের কথাও উল্লেখ করেছেন মামলাকারী। 

আরও পড়ুন, 'মানসিক অবসাধে ভুগছে শুভেন্দু', 'মমতার প্রধানমন্ত্রীত্ব' ইস্যুতে পাল্টা তোপ কুণালের

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, একমাত্র তৃণমূল কর্মীরাই চাকরি পাবেন।এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে।এই অভিযোগ প্রসঙ্গে যদিও কোনও  প্রতিক্রিয়ার দেননি ব্রাত্য বসু। উল্লেখ্য মহুয়া মৈত্র সম্প্রতি ফেসবুকে চাকরি দেওয়ার নাম করে একটি পোস্ট দেন। সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কেউ প্রতারণা করলে তাঁকে যেনও জানানো হয়। ভয় না পেয়ে অভিযোগ করার কথা বলেন তিনি। আর তারপরেই  এই মামলায় সাংসদের নাম উল্লেখ করা হল।

আরও পড়ুন, 'সিবিআই কী, না জেনেই দাবি তুলেছি', ময়নাগুড়িতে আইপিএস-র নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

টেট মামলায় হাইকোর্টে ত্রুটি স্বীকার করে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউয়ের লিস্ট প্রকাশ নিয়ে ভূল হয়েছে বলে হাইকোর্টে জানাল পর্ষদ। ২০ ডিসেম্বর বোর্ডের লিস্ট প্রকাশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। প্রশ্নপত্র ভুল মামলায় পুনর্মূল্যায়নে ত্রুটি হয়েছে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, 'নম্বর দেওয়া ও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে।' 

আরও পড়ুন, ভারতের অখণ্ডতাকে নিয়ে চ্যালেঞ্জকারীদের সঙ্গে কেন সম্পর্ক রয়েছে রাহুলের ? জোর নিশানা মালব্য-র

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেখানে প্রশ্নপত্রে ভূল ছিল বলে তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক । অনেকেই তাতে পাশ করতে পারেননি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। এরপর প্রশ্নগুলি ভূল ছিল কিনা, তা জানতে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি। সেই কমিটির অধ্যাপকরা ৬টি প্রশ্নকেই ত্রুটিপূর্ণ বলে মত দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। তবে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, সেই নিয়ম মানেনি পর্ষদ। সেটা নিয়ে মামলাও হয়েছিল।