সংক্ষিপ্ত

চলতি অর্থবর্ষে মদ বিক্রিতে রাজ্যের  রেকর্ড আয়। মোট ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আয় করল রাজ্য আবগারি দফতর।  

চলতি অর্থবর্ষে মদ বিক্রিতে রাজ্যের  রেকর্ড আয়। মোট ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আয় করল রাজ্য আবগারি দফতর। গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি আয় হলেও কোভিডের আগের সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি আয় করল রাজ্য। আফগারি দফতর সূত্রে খবর, এর মুনাফার তিনভাগে একভাগ, দেশি মদ থেকেই আয় করেছে রাজ্য।

বিদেশের থেকে আমদানী করা দেশি মদের দাম কমানোর ফলে বিক্রি বেড়ে ২০০ শতাংশ। যা নজিরবিহীন বলে মনে করছে আফগারি দফতরের আধিকারিকরা। আফগারি দফতর যতটা টার্গেট রেখেছিল, তার থেকেও আয় বেশি বেড়েছে। প্রসঙ্গত, কোভিড কাটিয়ে নানা উৎসবে মেতেছে সবাই। তার মধ্য়েই অন্যতম দোর উৎসব। এই উৎসবে গতবছর সেই সুযোগ সুবিধা ছিল না। কারণ কোভিড এসে কামড় বসিয়ে ছিল। তবে এবার বিধি নিষেধ অনেক কম ছিল, আর তাই দেদার মদও বিক্রি হয়েছে । দোলের সপ্তাহে শুক্রবার ছিল দোল পূর্ণিমা এবং শনিবার ছিল হোলি। বৃহস্পতিবার থেকেই মদ সংগ্রহ করছিলেন সবাই। তাতেই চারদিনে ২০০ কোটির মদ বিক্রি হয়েছিল। শুক্রবার বন্ধ ছিল মদের দোকান।রাজ্য আবগারি দফতর সূত্রে খবর, একদিন প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্রিক্রি হয়েছে।

আরও পড়ুন, বীরভূম থেকে কলকাতায় রওনা দিলেন কেষ্ট, সিবিআই-র ডাক কি তবে এসেই গেল

অপরদিকে, ওমিক্রন আশার আগে রাজ্য দুর্গা পুজোয় ১২ দিনেই ৭২০ কোটি টাকা মদ বিক্রি হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর মধ্য চতুর্থীর দিনেই ১০৯ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছে। রাজ্য আফগারি দফতরের তথ্য অনুযায়ী,  উৎসবের মরশুমে পয়লা অক্টোবার থেকে ১২ অক্টোবারের মধ্যেই ৭২০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে।নবান্ন সূত্রে খবর, ষষ্ঠী থেকে দশমী অধি মদ বিক্রি করে ১০০ কোটিরও বেশি টাকা আয় হয়েছে রাজ্যের। সাধারণত এমনি সময় মদ বিক্রি করে রাজ্যে ৫ দিনের গড় আয় মোটামুটি ৪০ কোটি টাকার মতো হয়। তবে পুজোর পাঁচদিনে সেই আয় বেড়ে দ্বিগুনেরও বেশি হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্যবার দশমীতে মদের দোকান বন্ধ থাকে। সে দিন থাকে ড্রাই ডে। তবে এবার আর দোকান বন্ধ করেনি রাজ্য। তাই আয়ও দেদার হয়েছে বলে খবর।

রাজ্যের কোষাগার ভরতে সবচেয়ে বড় অবদান পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। এই দুই জেলা থেকেই পাঁচদিনে প্রায় ২৮ কোটি টাকা উঠে এসেছে। হোটেল-রেস্তরাঁ মাবিকদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে  ৪০ শতাংশের মতো পুজোয় তাঁদের ব্যবসা বেড়েছে। লকডাউনের আগের বছর , ২০১৯ সালের পুজোতেও এত লাভের মুখ দেখেননি ব্যবসায়ীরা। ২০১৯ সালের তুলনায় চলতি বছরে ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। বেশি রাত পর্যন্ত দোকান খুলে রাখার অনুমতিতেই দেদার আয় রাজ্যে বলে অনুমান।