সংক্ষিপ্ত
- রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ
- একাধিক ট্যুইট রাজ্যপালের
- রাজ্য আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে
- অভিযোগ জগদীপ ধনকড়ের
রাজ্য আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বারবার এই অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবার ট্যুইট করে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। তাঁর দাবি পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রীতিমত উদ্বেগের। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন সেদিকে নজর দিচ্ছে না। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে সতর্ক করলেও, কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রাজ্যপালের।
সোমবার একাধিক ট্যুইট করেন ধনকড়। তার প্রতিটিই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যপালের দাবি মমতার পুলিশ সব জেনেও চুপ করে রয়েছে। নারদ কাণ্ডে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারই প্রতিবাদে নিউটাউনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করে তৃণমুল কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমুল।একই ভাবে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয় বেলঘরিয়া রথতলা মোড়ে।
রাজ্যের একাধিক জায়গায় শুরু হয় তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রতিবাদ। এদিকে, রাজভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই প্রেক্ষিতেই ট্যুইট করেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি সাংবিধানিক নিয়ম নীতি মানছেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নারদ কাণ্ডে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারই প্রতিবাদে নিউটাউনের ঘুনিতে রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশ পুতুল দাহ করে তৃণমুল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। দেওয়া হয় বিজেপি বিরোধী শ্লোগান। এদিন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা বলে প্রতিশোধের রাজনীতি করছে বিজেপি। এভাবে বাংলায় তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
নিউটাউনের রাস্তায় এদিন টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই বিক্ষোভ প্রতিবাদে সামিল হন রাজারহাট নিউটাউন তৃণমুল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আফতাব উদ্দিন। তাঁর নেতৃত্বেই বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
সোমবার মদন মিত্রের গ্রেফতারির খবরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে কামারহাটিতেও। কামারহাটি রথতলার মোড়ে বিধায়ক মদন মিত্র গ্রেফতারের প্রতিবাদে বি.টি রোড অবরোধ করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পোস্টার হাতে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এরপর গাড়ি আটকে কামারহাটি পৌরসভার সামনে রাস্তার উপরে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। এদিন বিক্ষোভ দেখানোর আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের পদত্যাগ দাবি করা হয়। রাজ্যপালকে বিজেপির দালাল বলে শ্লোগান তোলা হয়।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নারদের স্টিং অপারেশনের মুখে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিও দেখেছিল সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশ। এবং যার বড়সড় প্রভাব পড়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে।