সংক্ষিপ্ত
বারুইপুরে ফিরহাদ বলেন ত্রিপুরায় তৃণমূলকে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। প্রচারে হামলা চালিয়েছে বিজেপি।
ত্রিপুরায় নির্বাচনের (Tripura Election) নামে প্রহসন (farce) হয়েছে। ঠিক এই ভাষাতেই ত্রিপুরা পুরভোটের (Tripura Municipal Election) ফলাফল নিয়ে সমালোচনা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। রবিবার বারুইপুরে ফিরহাদ বলেন ত্রিপুরায় তৃণমূলকে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। প্রচারে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে বাধা দিয়েছে। যদি বিপ্লব দেব ত্রিপুরায় এতো উন্নতি করে থাকে তাহলে কেন ভয় পেল? কেন নির্বাচন করতে দিল না? বাংলায় আমরা এমন করি না। ত্রিপুরার মানুষ নিশ্চয় এর উত্তর দেবে।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে একটি রক্তদান উৎসবের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ত্রিপুরা পুরভোট নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেখানে ভোট হয়নি। তাই বিজেপির এই জয়। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা পার্থ মিত্র তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে যে খবর রটেছিল সেটা গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানান ফিরহাদ। তিনি বলেন পার্থ তৃণমূলেই আছেন।
উল্লেখ্য, আগরতলা পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পৌর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪টি আসনে নির্বাচন হয় ত্রিপুরায়। এরমধ্যে ১১২টি আসনে অন্য কোনও দল প্রার্থী না দেওয়ায়, সেই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। এদিকে বিজেপির দখলে চলে যায় আগরতলা কর্পোরেশন। ২৬টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা। হাতছাড়া হয়েছে বামেদের। দ্বিতীয় স্থান নিয়ে সিপিআইএম-তৃণমূল জোর টক্কর হয়। এমনকী এই সামান্য দিনেই যে ত্রিপুরার মাটিতে ‘শক্তিশালী’ বামেদের জোর টক্কর দিতে পারবে ঘাসফুল শিবির তা কেউ ভাবেনি।
ত্রিপুরার ভোটে তৃণমূলের ফল নিয়ে কটাক্ষ শানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ(BJP leader Dilip Ghosh)। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘বিজেপি প্রার্থী না দিলে হয়তো তৃণমূলের জেতার সুযোগ ছিল। জয়ের জন্য আমাদের সমস্ত প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ অন্যদিকে ত্রিপুরায় বড় জয় নিয়ে টুইট করেছেন এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও(Suvhendu Adhikari)। ওই টুইট বার্তাতেই বিপ্লব দেব এবং ত্রিপুরা বিজেপিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনের ঘোষণা, প্রচার পর্ব থেকে নির্বাচনের দিন ত্রিপুরায় পুর ভোট সম্পন্ন হয়ে অশান্তির আবহেই। বিজেপি বনাম সিপিএমের লড়াই তো ছিলই এবার সেখানে বিরোধী দল হিসেবে প্রতীদ্বন্দ্বিতা করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। অভিষেক বন্দ্যোাপাধ্যায়ের সভা ঘিরে অশান্তি থেকে যুব তৃণমূলের নেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতার-কম অশান্তি হয়নি পুরভোটকে কেন্দ্র করে। ভোটের দিনও বিরোধীদের মারধর, বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দিতে না দেওয়া, বুথে বুথে ছাপ্পা উঠেছে সব অভিযোগও। ভোট বাতিলেরও দাবি তুলেছে বিরোধীরা। যদিও এই সবকিছুকে আমল না দিয়ে বিজেপির দাবি ছিল ভোট হয়েছে নির্বিঘ্নে।