সংক্ষিপ্ত
বিজেপি জানিয়েছে কুণাল ঘোষ বিনা আমন্ত্রণেই সোহম মন্ডলের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। তিনি যে আসবে তা বিজেপির কোনও নেতা বা মন্ত্রীই জানতেন না। সবাইকে সৌজন্য বোধে সম্ভাষণ করে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে যান কুণাল।
পার্থ অর্পিতা চর্চার মধ্যে এবার কি কুণাল ঘোষকে নিয়ে বিতর্ক? সংবাদমাধ্যমের একাংশের রিপোর্ট তাই বলছিল। জানা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ নাকি কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে। বলা হয় মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন কুণাল। তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয় জোর চর্চা। তাহলে কি ফের দলবদল ? তবে সব জল্পনায় জল ঢেলে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কুণাল ঘোষের সঙ্গে ধর্মেন্দ্র প্রধানের কোনও বৈঠক বা কথা হয়নি।
ঠিক কি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি?
সূত্রের খবর উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন কুণাল ঘোষ। একই বাড়িতে থাকেন আইনজীবী সোহম মণ্ডল। তবে তার ফ্ল্যাট তৃতীয় তলায়। ওই ফ্ল্যাটেই আসেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সোহম মন্ডলের সঙ্গে ধর্মেন্দ্র প্রধানের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাই কলকাতায় এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং রাজ্য বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে মঙ্গলবার নৈশভোজের জন্য সোহম মন্ডলের ফ্ল্যাটে যান। সেখানে খেতে বসার কিছুক্ষণ পরেই কোনও কারণ বশত কুণাল ঘোষ সেই ফ্ল্যাটে যান। এখানেই জট ছাড়িয়েছে বিজেপি।
বিজেপি জানিয়েছে কুণাল ঘোষ বিনা আমন্ত্রণেই সোহম মন্ডলের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। তিনি যে আসবে তা বিজেপির কোনও নেতা বা মন্ত্রীই জানতেন না। সবাইকে সৌজন্য বোধে সম্ভাষণ করে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে যান কুণাল। সেখানে কোনও আলোচনা বা বৈঠকের প্রশ্নই আসছে না বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। একসময় কুণাল ঘোষ রাজ্যসভায় ধর্মেন্দ্র প্রধানের সহ সাংসদ ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁরা একে অপরকে চেনেন।
কুণাল ঘোষ বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে ধর্মেন্দ্র প্রধানও বেরিয়ে য়ান সোহম মন্ডলের ফ্ল্যাট থেকে। তাই সংবাদ মাধ্যমে যে ঘটনা রটানো হচ্ছে বা যে বৈঠকের কথা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই অবাস্তব ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি।
এদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় গুঞ্জন। তাহলে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হেফাজত নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই নেতার, প্রশ্ন ওঠে এমনও। তবে এই বিষয়ে নিজেদের বিবৃতি দিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে রাজ্য বিজেপি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য মেলেনি।
কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, লোকসভায় সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ
এই ৭ ধরনের খাবার খেলে ভুলে যেতে পারেন সবকিছু, চরম ক্ষতি হতে পারে মস্তিষ্কের
ভারতে 5G নিলাম শুরু, প্রথম দিনেই ১. ৪৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে