সংক্ষিপ্ত
সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করে বিরোধীরা। বিভিন্ন বুথে রিগিং করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও কোনও রিগিং হয়নি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে আজ সকাল থেকেই বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে শুরু হয়েছে উপনির্বাচন। নির্বাচনে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। দুটি কেন্দ্রে মোট ১৩৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে আসানসোলে বুথের সংখ্যা বেশি থাকায় শুধুমাত্র সেখানেই ১২১ কোম্পানি এবং ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বালিগঞ্জে। কিন্তু, সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করে বিরোধীরা। বিভিন্ন বুথে রিগিং করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও কোনও রিগিং হয়নি।
সকাল থেকেই বারাবনির একাধির বুথে বিজেপি এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়া এবং ভোট রিগিং-এর অভিযোগ পাচ্ছিলেন অগ্নিমিত্রা। এরপরই তিনি বারাবনির বিভিন্ন বুথে তিনি নিজে পরিদর্শন করতে শুরু করেন। ১৭৬ নম্বর বুথের কাছে অগ্নিমিত্রা গাড়ি নিয়ে আসতেই দেখেন রাস্তার উপরে অসংখ্য মানুষ ভিড় করে রয়েছে। এদের অধিকাংশের হাতেই ভোটার আইডি ছিল। অগ্নিমিত্রা জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা জানান যে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। এমনকী অগ্নিমিত্রাকে বুথের কাছে যেতেও বাধা দিতে থাকেন এই সব মানুষ। তারা অগ্নিমিত্রার গাড়ি এবং কনভয় ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অগ্নিমিত্রার গাড়ির বনেটের উপর সমানে চাপড় মারতে থাকেন একদল উত্তেজিত মানুষ। এরমধ্যে কিছু মানুষ বাঁশ এবং লাঠি নিয়ে অগ্নিমিত্রার গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। এহেন পরিস্থিতিতে অগ্নিমিত্রা পালের নিরাপত্তারক্ষীরাও পাল্টা প্রত্যাঘাত করেন। উত্তেজিত তৃণমূল সমর্থকদের হাত থেকে বাঁশ কেড়ে নিয়ে পাল্টা তারা মারধর করেন। এরপরই তৃণমূল সমর্থকরা অগ্নিমিত্রার গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ও পাথর বৃষ্টি করতে থাকে। এতে অগ্নিমিত্রার গাড়ির কাঁচ ভাঙে। এক নিরাপত্তারক্ষীর হাত কেটে যায় এই ঘটনায়।
আরও পড়ুন- 'মিডিয়াকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে', ক্ষোভ উগরে টুইট অগ্নিমিত্রার
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনা প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা অভিযোগ করেন, সকাল থেকেই পুলিশের সহযোগিতায় বারাবনির বুথে বুথে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের কাছে অবিলম্বে ওসি বারাবনির অপসারণ চেয়েছেন বলেও জানান। এরপরই গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আসানসোলের প্রতিটি বুথকেই স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন, 'তৃণমূলের তাবেদারি করছে পুলিশ', ভোট দিতে এসে বারবনির বুথের ইস্যুতে বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা
অগ্নিমিত্রা পাল নিজে এদিন রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে, বালিগঞ্জের বিভিন্ন বুথেও রিগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বালিগঞ্জের বিশপ কলেজের বুথে ভুয়ো ভোটার দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তোলেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। যদিও রিগিংয়ের অভিযোগের কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি। তাই কোনও রিগিং হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আজ সকালে বুথের ভিতরে পুলিশ প্রবেশ করার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। সেই অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছে কমিশন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "অগ্নিমিত্রা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কর্মীর মতো ব্যবহার করছেন। তার উপর নির্বাচন কমিশন যেখানে নিজেই বলেছে রিগিং হচ্ছে না তাহলে এটাই তো শেষ কথা।"