সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের যে কোনও বিষয় নিয়েই টুইটারে সরব হতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়াই হোক বা যে কোনও বিষয় নিয়েই সরব হন তিনি। আর এবার এই নিয়েই রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
রাজ্যের যে কোনও বিষয় নিয়েই টুইটারে সরব হতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়াই হোক বা যে কোনও বিষয় নিয়েই সরব হন তিনি। আর এবার এই নিয়েই রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যপালের উদ্দেশে তিনি বলেন, "টুইটে আর কাজ হবে না। এবার হয় কিছু করুন, না হয় চুপ থাকুন।"
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরই সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। টুইটারে এনিয়ে অনেক কিছুই লিখেছিলেন তিনি। এমনকী, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর বারবার ট্যাগ করে টুইট করায় খানিক 'বিরক্ত' হয়েই রাজ্যপালকে ব্লক করে দেন মমতা। তবে রাজ্যপালের টুইটের ফলে রাজ্যে লাভের লাভ কিছুই হয়নি বলে মত রাজ্য বিজেপির একাংশের। আর সেই কারণেই কড়া ভাষায় এবার শমীক রাজ্যপালের উদ্দেশে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাংলার রাজ্যপালের কাছ থেকে আর কোনও বিবৃতি শুনতে চাইছেন না। রাজ্যপালের টুইটও দেখতে চাইছেন না। মানুষ চাইছেন তিনি কিছু করুন। রাজ্যপাল বারবার বলছেন রাজ্যে আইনের শাসন নেই। মানুষ এখানে ভীত সন্ত্রস্ত, রাজ্য সরকার নিয়ম মেনে সরকার পরিচালনা করছে না। এগুলো শুনতে শুনতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তিনিও তো কিছু করতে পারেন। করছেন না। তিনি সংবিধানের রক্ষাকর্তা। হয় তিনি রক্ষা করুন, না হয় তিনিও নীরব হয়ে যান।"
আরও পড়ুন- 'মিডিয়াকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে', ক্ষোভ উগরে টুইট অগ্নিমিত্রার
শমীকের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বিরোধীরা অনেক সময় বলে থাকে রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করে। সব সময় বিজেপির হয়েই সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। রাজ্যে কার্যত বিজেপি নেতা হিসেবেই কাজ করেন তিনি। এমনকী, যে কোনও বিষয় নিয়ে বিজেপি নেতাদেরও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে দেখা যায়। মাঝে মধ্যেই রাজভবনে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারদের। রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে নালিশ জানান তাঁরা। কিন্তু, তার মধ্যেই হঠাৎ করে এই মন্তব্য কেন করলেন শমীক? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে।
আরও পড়ুন, 'তৃণমূলের তাবেদারি করছে পুলিশ', ভোট দিতে এসে বারবনির বুথের ইস্যুতে বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা
এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, দলের মতামতের বাইরে গিয়ে কোনও কথা বলেন না শমীক। তাহলে কি এভাবে দলের ইঙ্গিতই তুলে ধরেছেন তিনি? সর্বভারতীয় স্তর থেকে কি এই ধরনের ইঙ্গিতই এসেছে? উঠছে প্রশ্ন। তবে যাই হোক না কেন শমীক একেবারে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, 'টুইট করে আর কোনও লাভ হবে না। হয় রাজ্যপাল কিছু করুন, না হলে চুপ থাকুন।' তবে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও টুইট করেননি রাজ্যপাল!