সংক্ষিপ্ত
- কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কাজ শুরু
- কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বেহালা পূর্বে চমক
- প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় রত্না
- পুরভোটে বেহালা পূর্বের প্রচারের দায়িত্ব পেলেন তিনি
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কাজ শুরু। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জায়গা বেহালা পূর্বের প্রচারের দায়িত্ব পেলেন রত্না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাথার ওপর থাকলেও দক্ষিণ কলকাতার এই অঞ্চলে দলের কো-অর্ডিনেটরের কাজ করবেন শোভন জায়া।
বিজেপির পোস্টারে রবীন্দ্রনাথের কবিতা বিকৃতির অভিযোগ, শোরগোল রাজ্য়ে
শনিবার বেহালায় 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচি শুরু হয়। সাংবাদিক বৈঠকে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে দলের মহাসচিব বলেন, বেহালা পূর্বের পুরভোটের দায়িত্ব দেওয়া হল রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। যা শুনে রত্না বলেন, পার্থদার গাইডেন্সে কাজ করব। বেহালা পূর্ব কেন্দ্রকে এগিয়ে নিয়ে যাব। তবে তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তকে দলের মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছে রাজ্য় রাজনৈতিক মহল।
পাশে দাঁড়ালেন পার্থ, রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগ গৃহীত হল না
অতীতে শোভন দল ছেড়ে গেলেও বার বার তৃণমূল নেত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। বেহালা পূর্বে এক সময় শোভনের ওয়ার্ডেই মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে, ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন রত্না। ওয়ার্ডে নেতাকে না পেয়ে রত্নাকেই সব অভাব অভিযোগ উগড়ে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এবার পুরভোটের আগে সেই সুযোগকে কাজে লাগাল তৃণমূল।
বিয়েতে বাধা ইয়েস ব্যাঙ্ক, ঘর ছেড়ে টাকার লাইনে কনে
এখনও ভোট ময়দানে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, কলকাতা পুরভোটে ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিজেপির ওজনদার প্রতিদ্বন্দ্বী শোভনই। তার দিকে তাকিয়েই ময়দানে গুটি সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্য়েই সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে একটি পোস্টার। যেখানে শোভনকে ফের মেয়র পদে চেয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। সেই পোস্টারে বিজেপির নাম উল্লেখ না থাকলেও পদ্ম চিহ্ন ছিল।
খুব সম্ভব কলকাতা ও হাওড়াতে আগামী ২৮ জুলাইতে পুরভোট হতে পারে। এখনও সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি কমিশন। পুরভোটর অতীত বলছে, অতীতে বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জিতে বিধায়কের পদটি ধরে রেখেছেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে দলের সঙ্গে একটা দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। বিজেপিতে গিয়েও এক প্রকার নিষ্ক্রিয় হয়ে থেকে গিয়েছেন তিনি।