সংক্ষিপ্ত
ফের আক্রান্ত রুদ্রনীল ঘোষ
বিজেপির ত্রাণ বিলিতে বাধা তৃণমূলের
এরপরই সপাটে চড় রুদ্রনীলকে
তার বিলি করা খাবারে বিষ থাকতে পারে, আশঙ্কা তৃণমূলের
ফের আক্রান্ত বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। শুক্রবার দুপুরে ভবানীপুর এলাকায় ঘুর্ণিঝড় যশের দাপটে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে, তৃণমূল কংগ্রেসের এক স্থানীয় নেতার চড় খেতে হল তাঁকে। এমনই অভিয়োগ করেছেন টলি অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, তারপরও মানুষের পাশ থেকে সরে আসেননি। রুদ্রনীল। গত দুদিনে ঘূর্ণিঝড় যশ এবং পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে, ভবানীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার ক্ষতি হয়। গঙ্গার জলোচ্ছ্বাসে অনেক এলাকাতেই জল জমে গিয়েছিল। এই রকম ৩০০ দুর্গত পরিবারের মধ্যে এক রামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রম ও বিজেপির পক্ষ থেকে ত্রাণ বিলি করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ।
রুদ্রনীলের অভিযোগ, আচমকাই ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট বাবলু সিং-এর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সেখানে উপস্থিত হন। কেন তাঁরা সেখানে ত্রাণ বন্টন করছেন, সেই প্রশ্ন তুলে তাঁদের কর্মসূচীতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রুদ্রনীল। এই নিয়ে বচসা চলাকালীনই তার গালে চড় মারেন বাবলু, এমনটাই জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে কালীঘাট থানায় বাবলু সিং-এর নামে অভিযোগও দায়ের করেছে বিজেপি।
কালীঘাট থানায় দায়ের করা রুদ্রনীলের অভিযোগপত্র
রুদ্রনীল ঘোষ পরে জানান, দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও রাজনীতির রং দেখছে তৃণমূল। তাঁর অভিযোগ, ভবানীপুরে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই ত্রাণ দেবেন, আর কাউকে কিছু করতে দেওয়া হবে না, বলে তাদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী কাউন্সিলরের অনুমতি না নিয়ে কেন তারা ত্রাণ বিলি করছেন এই প্রশ্নও তোলা হয়।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা বাবলু সিং চড় মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বরং, রুদ্রনীলকে হাত জোড় করেই তারা চলে যেতে বলেছেন। কারণ, ওই এলাকায় এসে ত্রাণ বিলি করার নামে উত্তেজনা ছড়াতে চাইছিলেন রুদ্রনীল। তিনি না বলে কয়ে কেন ত্রাণ বিলি করতে আসবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তিনি বলেন, তারা যে খাবার দিচ্ছেন, তার মধ্য়ে বিষ আছে না কি আছে, তা কে বলবে?