সংক্ষিপ্ত
গরু,কয়লা পাচারের সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের পর এবার এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে হেরোইন পাচারের অভিযোগ তুলল বিজেপি। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন এই রাজ্য প্রায় ২০০ কোটি টাকার ড্রাগ পাচার হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।
গরু,কয়লা পাচারের সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের পর এবার এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে হেরোইন পাচারের অভিযোগ তুলল বিজেপি। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন এই রাজ্য প্রায় ২০০ কোটি টাকার ড্রাগ পাচার হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তিনি আরও বলেন রাজনৈতিক গোয়ান্দারা এই বিষয়ে তদন্ত করে জানতে পেরেছে, এই ঘটনায় সরাসরি যোগ রয়েছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার। কিন্তু তাদের প্রশ্ন কী করে একজন ছোট ব্যবসায়ী বা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কী করে এতবড় ড্রাগ ডিল করে। কারণ এই মাদক এসেছিল সূদূর আফগানিস্তান হয়ে।
ড্রাগ আসার পথ
বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংবাদিক জগন্নাথ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, গত ৯ সেপ্টেম্বর গুজরাট পুলিশের স্পেশাল টাক্স ফোর্স কলকাতা বন্দরে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করে। গিয়ার বক্সের মধ্যে লুকিয়ে প্রায় ৪০ কেজি হিরোইন আনা হয়েছিল। তদন্তে জানা যায় আফগানিস্তান থেকে দুবাই, সেখান থেকে চেন্নাই হয়ে কলকাতা বন্দরে এসেছিল হেরোইন। সেই কনসাইনমেন্টটি চালান হওয়ার কথা ছিল সূদূর সরবেড়িয়ায় শরিফুল এন্টারপ্রাইসে।
শরিফুলের ইতিবিত্ত
বিজেপি নেতাদের দাবি শরিফুল এন্টারপ্রাইসের প্রধান বা মালিক শরিফুল মোল্লা । তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। শরিফুল সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শিবু হাজরা ও শেখ শাহজাহানের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত। এই দুই নেতার সঙ্গে আবার তৃণমূলের দুই মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে কারও নাম নেওয়া হয়নি।
বিজেপির অভিযোগ
সাংবাদিকদের জগন্নাথ ভট্টাচার্য স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চলের তৃণমূল নেতার সঙ্গে আফগানিস্তানের যোগাযোগ হওয়া সম্ভব নয়। তাই এর পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে। আগামী দিনে সেই রহস্য উদঘাটন করা হবে। বিজেপি নেতাদের আরও অভিযোগ যে সংস্থার কন্টেনারে করে মাদক এসেছিল সেই সংস্থা দেশের দুই বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীকে পণ্য পরিষেবা দিয়ে থাকে। তাই সেই পন্য পরিষেবা গোষ্ঠীর সঙ্গে কী করেই বা যোগাযোগ হল শরিফুলের মত ছোট ব্যবসায়ীর। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শরিফুল বর্তমানে এই দেশে নেই। কারণ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও তাকে পায়নি বিএসএফ। তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বা গোপন আস্তানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিধানসভা ভোটের পরেই মাদক অর্ডার
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করে এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস পরেই মাদক অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। দুবাই থেকে গত মার্চে কনসাইনমেন্টটি এসেছিল। কিন্তু পলিউশন সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে সেই কনসাইনমেন্ট সংগ্রহ করা হয়নি। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, শরিফুল সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। তা বুঝতে পেরেই কনসাইনমেন্টটি সংগ্রহ করেনি। তারা জানিয়েছে গুজরাট ও মহারাষ্ট্র বন্দরে যারা মাদক পাঠিয়েছিল সেই সংস্থাই কলকাতা বন্দরে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। গোটা ঘটনার তদন্তের দাবিও জানিয়েছে বিজেপি।