সংক্ষিপ্ত

  •  নারদ এফআইআর থেকে নাম খারিজের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী
  •  বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে আগামীকাল মামলাটি উল্লেখ করার কথা রয়েছে
  •  প্রশ্ন উঠছে, মির্জার মতোই কি তবে শুভেন্দুও গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন 


নারদ মামলায় সিবিআই-এর হাতে এখনও পর্যন্ত  গ্রেফতার হয়েছেন একজন। মাস দেড়েক আগে গ্রেফতার হন সাসপেন্ডেড আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।  এবার নারদ এফআইআর থেকে নাম খারিজের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে আগামীকাল মামলাটি উল্লেখ করার কথা রয়েছে ৷ প্রশ্ন উঠছে, মির্জার মতোই কি তবে শুভেন্দুও গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন?

ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল এ রাজ্যের শাসক দলের কয়েকজন নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কের ওপর  স্টিং অপারেশন চালান ৷ ম্যাথুর কাছ থেকে তাদের টাকা নিতে দেখা যায় নারদ স্টিং অপারেশনে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলার তদন্তভার নেয়। এফআইআর করে ১৩ জনের নামে। এফআইআর থেকে নাম খারিজ করতে এর আগে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও এবং কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে ৷ অপরূপা, ইকবালের পর এবার এফআইআর থেকে নাম খারিজ করতে আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক চিত্র বলছে, ইতিমধ্যেই নারদ মামলায় এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁর অভিয়োগের ভিত্তিতে জেরা করা হয়েছে বিজেপি নেতা মুকুলব রায়কে। মির্জার অভিযোগ, ,ম্যাথুর কাছ থেকে নেওয়া টাকা মুকুল রায়ের কাছে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মির্জার বয়ান মিলিয়ে নিতে মুকুলের এলগিন রোডের বাড়িতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়েছে সিবিআই। প্রতিটি পদক্ষেপের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছে। যদিও মুকুল জানিয়েছেন, নারদ স্টিং অপারেশনে তাঁকে কোনও টাকা নিতে দেখা যায়নি। বিজেপি নেতার এই দাবি অবশ্য ঠিক বলেই মানছে সিবিআই। তবে মির্জার দাবি, ভিডিয়োতে টাকা নিতে না দেখা গেলেও মুকুলকে নারদকাণ্ডের টাকা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

আগে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও নারদ মামলা নিয়ে প্রকাশ্যেই কথা বলেছেন তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ক্যামেরার সামনেই তিনি জানান, নারদকাণ্ডে তিনি টাকা নিয়েছেন, তবে তা পার্টি ফান্ডের টাকা।প্রত্যেক দলই এই টাকা নিয়ে থাকেন। যার জন্য রসিদ দিয়েছেন তিনি। এর মদ্যে কোনও অস্বচ্ছতা দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। সম্প্রতি নারদ মামলার তদন্তে একে একে ডেকে পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের সাংসদ মন্ত্রীদের। এই মামলার তদন্তের জন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে বিশেষ অনুমতি নিয়েছে সিবিআই।