সংক্ষিপ্ত

চব্বিশের লোকসভার আগে বিজেপির সবথেকে বড় গড় উত্তরপ্রদেশ নিয়েও একাধিক বড় বার্তা দিতে দেখা গেল মমতাকে। সাফ জানিয়ে দিলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যোগী গড়েও লড়াইয়ের ময়দানে নামবে তৃণমূল-কংগ্রেস।

খাতায় কলমে নয়, চব্বিশের লোকসভার আগে বাস্তবিক রাজনৈতিক ময়দানে সর্বভারতীয় রূপে আত্মপ্রকাশ করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে শাসক দলের সাংগঠনিক সভায় যেন সেকথাই বারবার প্রতিধ্বনিত হল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Trinamool supremo Mamata Banerjee) কথায়।  এমনকী চব্বিশের লোকসভার আগে বিজেপির (BJP) সবথেকে বড় গড় উত্তরপ্রদেশ (Assembly Elections in UP) নিয়েও একাধিক বড় বার্তা দিতে দেখা গেল মমতাকে। সাফ জানিয়ে দিলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok Sabha elections) যোগী গড়েও লড়াইয়ের ময়দানে নামবে তৃণমূল-কংগ্রেস (Trinamool Congress in UP)। মমতার এই ঘোষণার পর থেকেই যা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দেশের পাঁচ রাজ্যের মধ্যেও উত্তরপ্রদেশেও বেজেছে বিধানসভা ভোটের বাদ্যি। এমতাবস্থায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার করতে উত্তর প্রদেশ যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। অখিলেশের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক বরাররই ভাল। কালীঘাটে মমতা বাড়িতে দেখাও করতে এসেছিলেন অখিলেশ। ২০২১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়ে কোনও প্রার্থী দেয়নি সমাজবাদী পার্টি। তারই পাল্টা প্রতিদান আসন্ন বিধানসভাতেই দিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। এদিকে এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, “আমরা অনেক রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। উত্তরপ্রদেশে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। অখিলেশকে সমর্থন করতে আমি ইউপি যাচ্ছি। লোকসভায় আমি লড়ব। এখন চাই অখিলেশ লড়ুক। গোয়াতেও মাত্র ২ মাসে আমরা লড়াই করেছি। এখনও লড়াই করছি। ত্রিপুরা আমরা নেবই। সিভিক সোসাইটিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ফ্রন্ট করে দেশজুড়ে কাজ করুন। দু’বছর আমাদের হাতে সময় আছে। ৪২-এ ৪২ চাই। বাংলা মজবুত করে, ঘর মজবুত করে চব্বিশে বিজেপিকে সরাতে হবে। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।”
আরও পড়ুন- 'ওটা ক্লারিকাল ওয়ার্ক', TMC-র সাংগঠবনিক নির্বাচন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর
আরও পড়ুন- ChildrenTrafficking in WB : বড়সড় শিশু পাচার চক্রের হদিশ হাবড়ায়, গ্রেফতার ৪
এদিকে সম্প্রতি অখিলেশের দূত হিসাবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন কিরণময় নন্দ। তৃণমূল নেত্রীকে উত্তরপ্রদেশে প্রচারে আসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুরোধ রাখছেন মমতা। কিন্তু চব্বিশের যুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে লড়াই যে তৃণমূলের জন্য মাস্টারস্ট্রোক হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে ১৫০০–এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।  তাদের মাঝেই তৃণমূল নেত্রীর এই বড় ঘোষণা যে গেরুয়া শিবিরের স্নায়ুর চাপ বাড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।