সংক্ষিপ্ত

  • বনগাঁ পুরসভায়  ১৪-০ তে জয়ী তৃণমূল
  • প্রক্রিয়া অবৈধ বলে আদালতে বিজেপি
  • দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টে
  • জিতেও স্বস্তিতে নেই তৃণমূল কংগ্রেস 
     


দীর্ঘ বিতর্কের পর বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ১৪-০ ভোটে পুরসভায় জয় পেয়েছে তাঁরা। যদিও ভোট প্রক্রিয়া ঘিরে ফের প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এই নিয়ে আদালতে মামলা করেছে তারা।

হইয়াও হইল না শেষ। জিতেও বনগাঁ পুরসভা নিয়ে অস্বস্তি পিছু ছাড়ল না তৃণমূলের। জেলাশাসকের সামনে ভোট হলেও প্রক্রিয়া অবৈধ বলে দাবি করেছে বিজেপি। এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও করেছে। এদিন বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে মামলার দ্রুত শুনানি চায় বিজেপির কাউন্সিলররা। যদিও বনগাঁ পুরসভায় চেয়ারম্যান  নিয়োগে  বিজেপির দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখর ববি শরাফ জানান, দ্রুত শুনানির কোনও প্রয়োজন নেই । ফলে মামলা করতে গেলে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে যেতে হবে মামলাকারীকে(ওটাই পুরসভার মামলার রেগুলর বেঞ্চ)। রেগুলর বেঞ্চে এই মামলার রায়ের ওপর আজকের বোর্ড গঠনের ফল নির্ভর করবে। 

বস্তুত, আজকের অনাস্থা ভোট বৈধ নয় এই অভিযোগ তুলে আদালতের উল্লেখ পর্বে আবেদন করে বিজেপি। সকাল সাড়ে দশটায় বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে গিয়ে মামলার অনুমতি চায় বিজেপির আইনজীবী। বিজেপির হয়ে আজ মামলা ফাইল করেছিলেন দীপেন্দু বিকাশ বৈরাগী। আদালত মামলা করার অনুমতি দিলেও দ্রুত শুনানিতে আপত্তি জানিয়েছে।
 
বিজেপির কাউন্সিলররা দাবি করেন,অনাস্থা নিয়ে আজ যে বৈঠক ছিল গতকাল রাতে স্পিড পোস্টে তার নোটিস পান তাঁরা। কোর্টে বিজেপির আইনজীবী বলেন, একজন অনাস্থা আনল, পরমুহূর্তে অন্য দলে চলে গেল(তৃণমূলে)।  কীভাবে এটা সম্ভব? 
তখন বিচারপতি শেখর ববি শরাফ মন্তব্য করেন, কারও মন কি আপনি পরিবর্তন করতে পারেন? মিটিং হল লিগাল ইস্যু। ইতিমধ্যেই যা হয়ে গেছে। সেটা বন্ধ করি কীভাবে?

এদিন ভোটের নির্ধারিত সময় সাড়ে ১১টার আগে আস্থা ভোটে অংশ নিতে তৃণমূলের ১৩ ও কংগ্রেসের ১ জন কাউন্সিলর জেলা শাসকের কার্যালয়ে আসেন। বিরোধীদের অপেক্ষায়, ১১টা থেক সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু করেন জেলা শাসক চৈতালী চক্রবর্তী।  জেলা শাসকের কার্যালয়ে ১নং সভাকক্ষে জেলা শাসকের তত্বাবধানে বনগাঁ পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার গৌরাঙ্গ দাসের উপস্থিতিতে শুরু হয় অনাস্থার অধিবেশন। সেই সময় 

জেলাশাসকের কার্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তার দুর্গ তৈরি করে পুলিশ। জলকামান, মেটাল ডিটেক্টর, জেলা শাসকের কার্যালয়ে ঢোকার মুখের মোড়গুলোতে ড্রপ গেট নাকা চেকিং করে পুলিশ। জেলা শাসকের কার্যালয়ের চারপাশে জারি ছিল ১৪৪ধারা। এছাড়াও আস্থা ভোটে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শাসক, বনগাঁ মহকুমা শাসক, পুলিশ সুপার।