সংক্ষিপ্ত

  • পাটুলির বন্ধ ঘর থেকে বেড়িয়ে আসছিল প্রকট দুগন্ধ 
  • মুখে রুমাল চাপা দিল কলকাতা পুলিশ,উদ্ধার হল দু-দুটো দেহ 
  •  কীসের অভিমান জীবনের প্রতি, মানসিক অবসাদ নাকি খুন
  • শহর আনলক হলেও করোনা যে চিরকালীন রোজগারে থাবা বসিয়েছে, তাঁতে সন্দেহ নেই 
     

পাটুলির বন্ধ ঘর থেকে বেরিয়ে আসছিল প্রকট দুর্গন্ধ। প্রতিবেশীদের সবার মনে করোনা আতঙ্ক। খবর গেল স্থানীয় থানায়। বন্ধ ঘর এসে ঢুকতেই গন্ধে গা গুলিয়ে উঠল। মুখে রুমাল চাপা দিল কলকাতা পুলিশ। উদ্ধার হল দু-দুটো দেহ। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে পাটুলি থানার পুলিশ। 

আরও পড়ুন, 'নয়না পাশে না থাকলে আত্মহত্যাই করতাম', স্পা মধুচক্র কাণ্ডে মুখ খুললেন সৌগত


কিন্তু ঘরে ঢুকতেই যা চোখে পড়ল, থমকে দাঁড়াল পুলিশ

বাড়ির ভিতরের ঢুকতেই কলকাতা পুলিশের চোখে পড়ে, একজন মহিলা অচেতন অবস্থায় মাটি লুটিয়ে রয়েছেন। দেহতে পচন ধরেছে। পচা-গলা দেহতে  পোকামাকড় চলাফেরা করছে। দোতালায় থেকে নীচতলায় নামতেই আবার একটি দেহ। তবে এবারটায় মাটি থেকে উপরে, শূন্য়ে ভাসছে আরও এক প্রবীণের দেহ। দেহ দুটি শনাক্ত করেছেন প্রতিবেশীরাই। স্থানীয় সূত্রে খবর,মৃত মহিলার নাম মঞ্জুশ্রী মিত্র। তিনি প্রয়াত স্নেহময় মিত্রের স্ত্রী। ওই যুবক তাঁদেরই  সন্তান। নাম শুভময় মিত্র। আরও জানা গিয়েছে, লেক মার্কেটে তাঁদের একটি বই এর দোকান রয়েছে।  সেই দোকানটি সম্প্রতি শুভময় দেখত। বর্তমানে কলকাতা পুরসবার চুক্তি ভিত্তিক কাজে কর্মরত ছিল শুভময়। তবে বৃদ্ধ মায়ের অসুস্থতা এবং আর্থিক অনটনে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, মা-ছেলে কাউকেই বহুদিন বাইরে দেখা যায়নি।

 

 

আরও পড়ুন, করোনায় আক্রান্ত রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা অধিকর্তা, কী বলছে নবান্ন

তবুও প্রশ্ন উঠেছে কেন এমন করে চলে গেলেন তাঁরা 


 কীসের অভিমান জীবনের প্রতি, মানসিক অবসাদ নাকি খুন, এসব প্রশ্ন ইতিমধ্যেই নাড়া দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। নিহতের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। শহর আনলক হলেও করোনা যে চিরকালীন রোজগারে থাবা বসিয়েছে, তাঁতে সন্দেহ নেই। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পাটুলি থানার পুলিশ।