সংক্ষিপ্ত
রাজ্যপালের উপর চাপ সৃষ্টি করল বাম ও কংগ্রেসও। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করার দাবিতে রাজ্যপালকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, কথা বলার দিন আর নেই, এবার করে দেখান রাজ্যপাল।
কথায় কথায় রাজ্যের যে কোনও বিষয় নিয়েই টুইটারে সরব হতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়াই হোক বা যে কোনও বিষয় নিয়েই সরব হন তিনি। সম্প্রতি তা নিয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যপালের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, "টুইটে আর কাজ হবে না। এবার হয় কিছু করুন, না হয় চুপ থাকুন।" আর এবার সেই একই দাবিতে রাজ্যপালের উপর চাপ সৃষ্টি করল বাম ও কংগ্রেসও। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করার দাবিতে রাজ্যপালকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, কথা বলার দিন আর নেই, এবার করে দেখান রাজ্যপাল।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সংবিধানকে রক্ষা করছেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁকে পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্যে ভোটের পর বিরোধীদের মেরে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে শাসকদল। সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে প্রলোভন দিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হয়েছে। একমাত্র সুবিধা করতে পারছেন না রাজ্যপালকে। তাই তাঁর পিছনে লেগেছে। রাজ্যপালের হাতে যে সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে তা প্রয়োগ করার সময় এসেছে।"
আরও পড়ুন- 'কিছু করুন, না হলে চুপ থাকুন', রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শমীকের
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "রাজ্যপালের অনেক জ্ঞান আমরা শুনেছি। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে রাজ্য কী ভাবে বেরোবে তার পথ দেখান উনি। রাজনৈতিক ভাবে নয়, প্রশাসনিকভাবে কী ভাবে রাজ্যে শান্তি ফেরানো যেতে পারে তার পথ দেখাতে হবে ওনাকেই।" সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "রাজ্যপাল অট্টালিকায় থাকা মানুষ। উনি সাধারণ মানুষের জীবনের দুঃখ কষ্ট কি বুঝবেন? অট্টালিকা ধসে পড়ছে।"
আরও পড়ুন- 'শুভবুদ্ধির উদয় হোক', নববর্ষের আগের দিন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে বললেন মমতা
উল্লেখ্য, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরই সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। টুইটারে এনিয়ে অনেক কিছুই লিখেছিলেন তিনি। এমনকী, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর বারবার ট্যাগ করে টুইট করায় খানিক 'বিরক্ত' হয়েই রাজ্যপালকে ব্লক করে দেন মমতা। তবে রাজ্যপালের টুইটের ফলে রাজ্যে লাভের লাভ কিছুই হয়নি বলে মত রাজ্য বিজেপির একাংশের। আর সেই কারণেই কড়া ভাষায় এবার শমীক রাজ্যপালের উদ্দেশে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাংলার রাজ্যপালের কাছ থেকে আর কোনও বিবৃতি শুনতে চাইছেন না। রাজ্যপালের টুইটও দেখতে চাইছেন না। মানুষ চাইছেন তিনি কিছু করুন। রাজ্যপাল বারবার বলছেন রাজ্যে আইনের শাসন নেই। মানুষ এখানে ভীত সন্ত্রস্ত, রাজ্য সরকার নিয়ম মেনে সরকার পরিচালনা করছে না। এগুলো শুনতে শুনতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তিনিও তো কিছু করতে পারেন। করছেন না। তিনি সংবিধানের রক্ষাকর্তা। হয় তিনি রক্ষা করুন, না হয় তিনিও নীরব হয়ে যান।"