সংক্ষিপ্ত
শনিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবারহ বন্ধ থাকছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে দাবি, ধাপার জয়হিন্দ জল প্রকল্পে কিছু ত্রুটি মেরামতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোথায় কোথায় বন্ধ থাকছে।
শনিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবারহ বন্ধ থাকছে। কলকাতা পুরসভা (KMC) সূত্রে দাবি, ধাপার জয়হিন্দ জল প্রকল্পে কিছু ত্রুটি মেরামতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রবিবার সকাল থেকে ফের স্বাভাবিক হবে জল সরবারহ (Water Supply)।
এদিন সকাল ১০ থেকেই বন্ধ করা হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবারহ। ধাপার জয়হিন্দ জল প্রকল্পে কিছু ত্রুটি মেরামতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। জানা গিয়েছে, পূর্ব কলকাতা, পিকনিক গার্ডেন, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর, পাটুলি, গড়িয়া, হাটগাছিয়া, মেট্রোপলিটন, তপসিয়া, চায়না টাউন, আরুপোতা, বাঘাযতীন, রামলাল বাজার, কসবা, সন্তোষপুর, হালতু, অজয়নগর, পঞ্চসায়র, পঞ্চান্নগ্রাম, সার্ভে পার্ক অঞ্চলগুলিতে জল সরবারহ বন্ধ থাকবে এদিন। কলকাতা পুরসভা পুর কমিশনার বিনোদ কুমার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানিয়েছেন।জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরনিগমের ৭, ১০, ১১, ১২ নম্বর বরোর আংশিক এলাকায় জল সরবারহ বন্ধ থাকবে। যে সব ওয়ার্ডে জল সরবারহ বন্ধ থাকবে, সেগুলি হল, ৫৭, ৫৮, ৬৬, ৬৭, ৯১, ৯২ এবং ১০০ থেকে ১১০ ওয়ার্ড। বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে, মেরামতির কাজের জন্য জি জে খান বুস্টার পাম্পিং স্টেশন, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর, তেলিপাড়া, সিএন রায় রোড বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে জল সরবারহ ব্যহত হবে।
আরও পড়ুন, ফের চতুর্থবার দাম বাড়ল জ্বালানীর, পেট্রোলের দাম ১০৭ টাকা পার করল কলকাতায়
প্রসঙ্গত, জলের আরেক নাম জীবন। এই কথা আমরা সকলেই ছোটবেলা থেকে শুনেও আসি। তবে সেভাবে আমরা এব্যাপারে অনেকেই দায়িত্বশীল নই। এদিকে সারা বিশ্বের পাীয় জলের স্তর ধীরে ধীরে কমে আসছে। তার আগেই সতর্ক না হলে, বিপদ বাড়বে ভবিষ্যতে। আর এমনই আশঙ্কার কথা নিশ্চিত করে দিল ডব্লু ডব্লু এফ অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড।ডব্লু ডব্লু এফ এর সমীক্ষার রিপোর্ট সূত্রে খবর, ২০৫০ সালের মধ্য়ে তীব্র জল কষ্টে ভুগবে পৃথিবীর ১০০ টি শহর। আর এই ১০০ শহরের তালিকায় কলকাতার নামও আছে। এখানেই শেষ নয়, ওই তালিকায় কলকাতা সহ ভারতের আরও ৫০ টি শহরের নাম রয়েছে। আর সেটাই রীতিমত আশঙ্কার।
আরও পড়ুন, আজই বগটুই গ্রামে সিবিআই, ১০ সদস্যের তদন্তকারী দলে নের্তৃত্বে জয়েন্ট ডিরেক্টর
ওই সমীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, অমৃতসর,পুনে, শ্রীনগর, বেঙ্গালুরু, কোঝিকোড়, বিশাখাপত্তনম, জয়পুর, ইন্দোরের মতো শহর রয়েছে এই তালিকায়। তবে ১০০ শহরের তালিকার ৫০ ভাগ চিনে অবস্থিত। অপরদিকে, ডব্লু ডব্লু এফ- এর ভারতীয় শাখার কর্তা সেজাল ওয়ারা জানিয়েছেন,'ভারতের ভবিষ্যত নির্ভর করে আছে এই শহরগুলির উপরেই।তাই শহরে বেশি করে জলাশয় ও জলাভূমির সংরক্ষণস করা প্রয়োজন।' উল্লেখ্য, জল সঙ্কটের অন্যতম দৃষ্টান্ত দেশের মধ্যে চেন্নাই। তাই চেন্নাই এর কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্ক হলে অনেকাটই এড়ানো যেতে পারে এই সমস্যা বলে অনেকের অনুমান।