সংক্ষিপ্ত

  •  ভোটের মাঝে কোভিডে ভয়াবহ অবস্থা 
  • সরকারি অফিসে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী
  • বেসরকারিতে যতটা 'সম্ভব ওয়র্ক ফর্ম হোম'
  • নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার 
     


 ভোটের মাঝে কোভিডে ভয়াবহ অবস্থা রাজ্য তথা দেশে। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ সামলাতে মহারাষ্ট্রে করা হয়েছে লকডাউন। কোথাও আার নাইট কার্ফু। তবে বাংলায় অতোটা কড়া না হলেও এবার ১০ দফা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। 

 

আরও পড়ুন, করোনায় ভয়াবহ অবস্থা রাজ্যে, শুধু একদিনেই ৩৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত প্রায় ৮ হাজার 

 

 

আরও পড়ুন, Election Live Update-আজ রাজ্য সফরে আসছেন অমিত শাহ, ওদিকে দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল মমতার 

 

সেই নির্দেশিকাগুলি হল-গণ পরিবহণ সহ যেখানেই সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন সেকানেই মাস্ক, স্যানিটাইজার, সামজিক দূরত্ব যাতে বজায় রাখা হয়, তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং শপিং কমপ্লেক্সে সপ্তাহে অন্তত একবার জীবাণুনাশের ব্যবস্থা করতে হবে।ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির সাহায্য়ে সকল বাজার গুলিতে স্যানিটাইজেসনের ব্যবস্থা করতে হবে।দৈনিক বা সাপ্তাহিক বাজারগুলিতে বা বানিজ্য়িক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় ভাগ করে দিতে হবে ভীড় নিয়ন্ত্রের জন্য। রাজ্য সরকারি অফিসে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে প্রতিদিন কাজ চালাতে হবে। ঘুরিয়ে ফিরেয়ে অফিস আনতে হবে।বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে যতটা সম্ভব কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার ব্য়বস্থা ফের শুরু করতে হবে। কর্মস্থানে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে নিশ্চিত করতে হবে যাতে সকলেই মাস্ক পরেন, সামাজিক দূর্তব বজায় রাখেন। শপিংমলে, হোটেল, রেস্তরাতে আগের মতোই প্রবেশ এবং বাহির পথে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ,থার্মাল স্ক্য়ানিং এর ব্যবস্থা রাখতে হবে বাধ্য়তামূলকভাবে। স্টেডিয়াম, সুইমিং পুলগুলিতে আগের মতোই গাইডলাইনের সকল বিধিনিষেধ পালন করতে হবে। 

 

 

 

কোভিডে বাংলার অবস্থা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,রাজ্যে একদিনে মৃত ৩৪ জন  এবং এর মধ্যে কলকাতায় একদিনে মৃত্যু সংখ্যা ১০।উত্তর ২৪ পরগণায় ৮ জন, দক্ষিণ  ২৪ পরগণায় ২ জন, হাওড়া ১ জন ,হুগলি ১ জন, পূর্ব বর্ধমানে ১ জন, পুরুলিয়া ২, বীরভূম ৩, মুর্শিদাবাদ ৫, জলপাইগুড়ি ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ একদিনে বাংলায় প্রায় ৮  হাজার। ওদিকে রাজ্যে এরই মাঝে চলছে ভোট। আর নির্বাচনী জমায়েতে এবার রাশ টানল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ভীড় রুখতে জেলা শাসক এবং কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা ব্যবহার করা হতে পারে। হাইকোর্টের নির্দেশনামা ইতিমধ্যেই জেলাশাসক এবং কমিশনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।