সংক্ষিপ্ত
আসন্ন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও, জানালেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।পুরভোটের নিরাপত্তার জন্য শহরজুড়ে বাড়তি নজরদারি এবং পেট্রোলিং চলছে।
আসন্ন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে (Kolkata Municipal Polls 2021) নিরাপত্তার জন্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও, জানালেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র (CP Soumen Mitra)। পুরভোটের নিরাপত্তার (Security for KMC Polls 2021) জন্য শহরজুড়ে বাড়তি নজরদারি এবং পেট্রোলিং চলছে বলে জানালেন তিনি।
নজরুল মঞ্চে ট্রাফিকের একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান উদ্বোধনে এসে কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র জানান, 'নির্দিষ্ট কিছু বুথে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও। পাশাপাশি তিনি জানান, নিরাপত্তা নিয়ে ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট (Force Deployment) সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কমিশনে। কমিশন যেমন নির্দেশ দেবে সেই অনুযায়ীই ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট (Force Deployment) হবে। তবে শহরবাসীকে শান্তিপূর্ন ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে কলকাতা পুলিশ বদ্ধপরিকর, জানান পুলিশ কমিশনার। পুলিশ কমিশনার বলেন, এত বড় শহরে বড় নির্বাচনের আগে অনেক ছোট ঘটনা ঘটে যায়, কিন্তু আমরা বাড়তি নজর রাখছি সমস্ত অফিসারদের সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে যাতে কোনওরকম আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঘটনা না ঘটে। পুরভোটের নিরাপত্তার জন্য শহরজুড়ে বাড়তি নজরদারি এবং পেট্রোলিং চলছে।
পুরভোট নিয়ে কী ধরণের নিরাপত্তা আয়োজন করা হবে, এনিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে কমিশেের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছে। গত শুক্রবার কলকাতার যুগ্ম কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। এর ভিত্তিতেই কমিশনারের কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত খুটিনাটি তথ্য সম্বনিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েঠছে কমিশনের তরফে। তার ভিত্তিতেই সোমবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। জানি গিয়েছে, রিপোর্টে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে মোট ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কলকাতা পুলিশ থাকবে ২৭ হাজার এবং ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ থাকবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সূত্রে খবর, শেষবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে এই একই সংখ্যক বাহিনী ছিল। তবে এবার যেহেতু বুথের সংখ্যা বেড়েছে, তাই এবার পুলিশের সংখ্যাও বাড়বে। প্রতি বুথে একজন করে এসআই, একজন করে এএসআই এবং দুজন করে সশ্বস্ত্র পুলিশ থাকবে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই রাজ্যে পুরভোটে নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সরব গেরুয়া শিবির। এদিকে দোরগড়ায় ভোট। কার্যত একুশের নির্বাচনের উলটপূরাণ দেখা গিয়েছে বকেয়া পুরভোটে। কারণ একদিকে যখন একুশের সারাদেশে মাত্র কয়েক দফায় ভোট হয়েছে, তখন রাজ্য় বিধানসভায় ৮ দফায় ভোট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোচবিহার কাণ্ডে জলঘোলা হয়েছে। তখন সরব ছিল তৃণমূল। কিন্তু ভোটে বিরুল জয়ের পর তৃতীয়বার সরকার গঠন করে ছবি বদলিয়েছে। এখন একই দিন কেন নয় সব পুরভোট প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি তথা রাজ্যপাল। সেই সঙ্গেই প্রকট হয়েছে নিরাপত্তা জনিত ইস্যুও।