সংক্ষিপ্ত
শাসক বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত রাজ্য বিধানসভা। নজিরবিহীনভাবে শাসক ও বিরোধী উভয় দলের সদস্যরাই কক্ষ ত্যাগ করলেন। প্রথমে বিজেপি রাজ্য সরকারির দুর্নীতির বিরুদ্ধে আলোচনার জন্য মুলতুবি প্রস্তাব আনে। কিন্তু সেই সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি
শাসক বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত রাজ্য বিধানসভা। নজিরবিহীনভাবে শাসক ও বিরোধী উভয় দলের সদস্যরাই কক্ষ ত্যাগ করলেন। প্রথমে বিজেপি রাজ্য সরকারির দুর্নীতির বিরুদ্ধে আলোচনার জন্য মুলতুবি প্রস্তাব আনে। কিন্তু সেই সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। তারপরই বিজেপি সদস্যরা 'চোর ধরো জেল ভরো' স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ওয়াকআউট করে। তার কিছুক্ষণ পরেই বিধানসভা ত্যাগ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়। সবশেষে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসও।
তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদেক কথায় এদিন প্রথমে বিধানসভায় ভিরত বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করে স্লোগান দিয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিধায়ক জানান বিজেপি বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চোর স্লোগান তোলেন। তারপরই তারা বিধানসভা অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আইন মেনে মুলতুবি প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আর সেই কারণেই মেনে নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে স্পিকার বলেছেন আদালতের বিচারাধীন বিষয় রয়েছে বলেই বিজেপির আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়নি।
অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ তাদের প্রস্তাব মানা হয়নি। পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রীদের নেতৃত্ব তৃণমূল বিধায়করাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তারা পাল্টা রাজ্য বিধানসভায় টেনে আনা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। শুভেন্দু অধিকারীর লেডি-পুলিশ করা মন্তব্য তুলেও কটাক্ষ করতে শুরু করে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়। এদিনও আন্দোলনে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
গত জুন মাসেই বিধানসভায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা তরজায় জড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।