সংক্ষিপ্ত
বিজেপি সূত্রে খবর, মূলত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লোকজন আসবে এই মিছিলে। উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির যে সংগঠন রয়েছে তারা তো পথে নামবেই, সঙ্গে আশপাশের কিছু বিধানসভা এলাকা থেকেও লোক আনা হবে। এই জমায়েত যাতে অনেকটা বড় করে করা সম্ভব হয় সেই চেষ্টাই করছেন গেরুয়া শিবির।
বামেদের (CPIM) ধর্মঘটের দিনই রামপুরহাটের (Rampirhat Massacre) বগটুই (Bagtui) কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় মহামিছিলের (Rally in Kolkata) ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। সোমবার ওয়েলিংটন থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করবে গেরুয়া শিবির (BJP)। এই মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য সব বিজেপি বিধায়ককে (BJP MLA) বলা হয়েছে। এছাড়াও সাতটি বিধানসভার লোকজন এবং বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতারাও মিছিলে পা মেলাবেন। বড় জমায়েতের কথা ভেবে কলকাতার (Kolkata) রাস্তা সচল রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একদিকে বামেদের ধর্মঘট, অন্যদিকে পথে নামার ডাক দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী শিবির। ফলে সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, মূলত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লোকজন আসবে এই মিছিলে। উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতায় (South Kolkata) বিজেপির যে সংগঠন রয়েছে তারা তো পথে নামবেই, সঙ্গে আশপাশের কিছু বিধানসভা এলাকা থেকেও লোক আনা হবে। এই জমায়েত যাতে অনেকটা বড় করে করা সম্ভব হয় সেই চেষ্টাই করছেন গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পরই গ্রামের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এরপর সেই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৮ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ। ভাদু শেখের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, সিবিআই-র ডিআইজির নের্তৃত্বে বগটুইয়ে ৩০ আধিকারিকের দল, তদন্ত শুরু হতেই এফআইআর দায়ের
বগটুইয়ে ‘গণহত্যা’কে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। আর এবার এই ঘটনার প্রতিবাদেই সরব হতে চলেছে পদ্মশিবির। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পদক্ষেপের দাবিতে আগামীকাল মিছিল করবে বিজেপি। এদিকে সোমবারই আবার বামেদের শ্রমিক সংগঠনগুলিও বনধ ডেকেছে। সে ধর্মঘটকে বানচাল করাও এই মিছিলের লক্ষ্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও বিজেপির দাবি, ‘বামেদের ডাকা ধর্মঘটের থেকে রামপুরহাট কাণ্ডের গুরুত্ব অনেক বেশি। যদি ওরা ধর্মঘট সফল করতে পারে, তাহলে তো এমনিতেই বিজেপির মিছিলে লোক হবে না। তাহলে এত ভাবনা কেন?’
রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "২১ মার্চের ঘটনা গোটা দেশজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। যেভাবে মহিলা, শিশুদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জার। এ রাজ্যে প্রচুর বোমা, বারুদ, বন্দুক ছড়িয়ে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল রাজ্যকে সন্ত্রাসের আঁতুরঘরে পরিণত করেছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছে।"