সংক্ষিপ্ত
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেখানে প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল বলে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অনেকেই তাতে পাশ করতে পারেননি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
টেট মামলায় (TET Case) হাইকোর্টে (High Court) ত্রুটি স্বীকার করে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Board Of Primary Education)। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের (TET Exam) ইন্টারভিউয়ের লিস্ট প্রকাশ নিয়ে ভুল হয়েছে বলে হাইকোর্টে জানাল পর্ষদ। ২০ ডিসেম্বর বোর্ডের লিস্ট প্রকাশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। প্রশ্নপত্র ভুল মামলায় পুনর্মূল্যায়নে ত্রুটি হয়েছে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানান হয়েছে, "নম্বর দেওয়া ও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে।"
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেখানে প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল বলে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অনেকেই তাতে পাশ করতে পারেননি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। এরপর প্রশ্নগুলি ভুল ছিল কিনা তা জানতে বিশ্বভারতীর (Biswa Bharati) উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি। সেই কমিটির অধ্যাপকরা ৬টি প্রশ্নকেই ত্রুটিপূর্ণ বলে মত দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, সেই নিয়ম মানেনি পর্ষদ। তা নিয়ে মামলাও হয়েছিল।
এরপর আদালতের সেই নির্দেশ মেনে ২০ ডিসেম্বর মোট ৭৩৮ জনের ইন্টারভিয়ের (Interview) তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার সেই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুল ছিল। তার প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু, সেই ইন্টারভিউ লিস্টেও এবার ভুল ধরা পড়ল। আজ সেই মামলার শুনানির সময় নিজেদের ভুল স্বীকার করল পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানান হয়েছে, "নম্বর দেওয়া ও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে।"
এ বিষয়ে আদালতের প্রশ্ন, 'যাঁদের লিস্টে নাম নেই তাঁদের নিয়ে কী ভাবছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ?' আগামিকাল অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার তা জানাতে হবে হাইকোর্টকে। পাশাপাশি আপডেট করতে হবে পর্ষদের ওয়েবসাইটেও (Website)।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ২০১৫ সালে টেট পাশ করেন তাঁরা। এরপর সরকারি উদ্যোগে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা DLEd-এর প্রশিক্ষণ নেন। গত বছরের নভেম্বরে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সেই নিয়োগ হয়নি। ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। বাকি সাড়ে ৪ হাজার পদে এখনও নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।