সংক্ষিপ্ত

  • করোনা গ্রাস করতে পারে রাজ্য়ের কোষাগার
  •  আতঙ্কে পয়লা এপ্রিল বেতন নিয়ে চিন্তায় কর্মীরা
  •  সোমবার নিজেই চিন্তার অবসান ঘটালেন মুখ্য়মন্ত্রী
  •  জানিয়ে দিলেন, মাস পয়লাতেই বেতন পাবেন কর্মীরা 

করোনা গ্রাস করতে পারে রাজ্য়ের কোষাগার। আতঙ্কে পয়লা এপ্রিল বেতন হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় ছিল রাজ্য় সরকারি কর্মীরা। সোমবার নিজেই সেই চিন্তার অবসান ঘটালেন মুখ্য়মন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, মাস পয়লাতেই বেতন পাবেন রাজ্য় সরকারি কর্মীরা। এমনকী চাইলে এক মাসের বেতন অগ্রিম নিতে পারেন তাঁরা। 

রাজ্যে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত বাংলায় ২২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে।  মারা গিয়েছেন ২ জন। আগামী কয়েকদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারী, স্কুলশিক্ষক, শিক্ষাকর্মী মহলে একটা উদ্বেগ ছিল যে, এপ্রিলের মাস পয়লায় বেতন হবে কিনা । এদিন সেই চিন্তা দূর করেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী।

নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাসের ১ তারিখে যাতে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশন হয় তার জন্য আমি অফিসারদের দেখতে অনুরোধ করছি।  রাজ্য় সরকারি কর্মীরা চাইলে আগাম এক মাসের বেতন নিতে  পারেন। তবে তা নিময় মেনে আবেদন করতে হবে। এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি মুখ্য়মন্ত্রী।

রাজ্য়ে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য়কর্মী কম পড়তে পারে। বিপদের আশঙ্কা থেকে আগেভাগেই কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য় সরকার। সোমবার করোনা মোকাবিলা বৈঠকে স্বেচ্ছাসেবী  স্বাস্থ্য় কর্মী নিয়োগ করার কথা বলেন মুখ্য়মন্ত্রী। রাজ্য়ে করোনা রুখতে সব জেলার স্বাস্থ্য় আধিকারিকেদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ থেকে বীরভূম, হাওড়াসহ সব সরকারি হাসপতালের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্য়মে সব জেলার হাসপাতালের হাল হকিকত জানতে চান মুখ্য়মন্ত্রী। করোনা রুখতে কার কী প্রযোজন তাও জেনে নেন মমতা। বৈঠকে নিজেদের অভাবের কথা প্রকাশ্য়েই জানিয়ে দেন স্বাস্থ্য়প্রতিনিধিরা।

পরে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবী  স্বাস্থ্য়কর্মী নিয়োগ করতে চান তিনি। করোনা যুদ্ধে রাজ্য় সরকারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু ঠিক কোথায় যোগাযোগ করতে হবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। শীঘ্রই এদের জন্য় অনলাইনে যোগাযোগ করার ব্য়বস্থা করে দেবে রাজ্য় সরকার। মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বস্থ্য়কর্মী হওয়ার জন্য় যাদের  কাছে ডিগ্রি রয়েছে তারা এখানে যোগ দিতে পারবেন। সব হাসপাতালের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য়। এদেরকে স্টাইফেনও দেবে রাজ্য়  সরকার।