সংক্ষিপ্ত

  • রাজ্য়ে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য়কর্মী
  •  বিপদের আশঙ্কা থেকে আগেই নিয়োগ
  •  কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য় সরকার
  •  নিজেই বৈঠকে ঘোষণা মুখ্য়মন্ত্রীর 

রাজ্য়ে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য়কর্মী কম পড়তে পারে। বিপদের আশঙ্কা থেকে আগেভাগেই কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য় সরকার। সোমবার করোনা মোকাবিলা বৈঠকে স্বেচ্ছাসেবী  স্বাস্থ্য় কর্মী নিয়োগ করার কথা বলেন মুখ্য়মন্ত্রী।

৫ নয় ১০ লক্ষ দেবে রাজ্য় সরকার, ডাক্তার-স্বাস্থ্য়কর্মীদের বিমার মূল্য বাড়ল.

রাজ্য়ে করোনা রুখতে সব জেলার স্বাস্থ্য় আধিকারিকেদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ থেকে বীরভূম, হাওড়াসহ সব সরকারি হাসপতালের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্য়মে সব জেলার হাসপাতালের হাল হকিকত জানতে চান মুখ্য়মন্ত্রী। করোনা রুখতে কার কী প্রযোজন তাও জেনে নেন মমতা। বৈঠকে নিজেদের অভাবের কথা প্রকাশ্য়েই জানিয়ে দেন স্বাস্থ্য়প্রতিনিধিরা।

লকডাউনেও তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, গার্ডেনরিচে ত্রাণ বিলি নিয়ে চলল গুলি.

পরে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবী  স্বাস্থ্য়কর্মী নিয়োগ করতে চান তিনি। করোনা যুদ্ধে রাজ্য় সরকারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু ঠিক কোথায় যোগাযোগ করতে হবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। শীঘ্রই এদের জন্য় অনলাইনে যোগাযোগ করার ব্য়বস্থা করে দেবে রাজ্য় সরকার। মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বস্থ্য়কর্মী হওয়ার জন্য় যাদের  কাছে ডিগ্রি রয়েছে তারা এখানে যোগ দিতে পারবেন। সব হাসপাতালের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য়। এদেরকে স্টাইফেনও দেবে রাজ্য়  সরকার। 

রাজ্য়ে ২২টি করোনা হাসপাতাল, সংক্রমিত বাড়ছে দেখেই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য় ভবনের

প্রসঙ্গের সূত্রপাত, কোনও এক হাসপাতালের প্রতিনিধির বক্তব্য়কে  ঘিরে। যিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য়কর্মীর আকাল দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় কিছু লোক হাউস স্টাফ হিসাবে হাসপাতালের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন। স্টাইফেন দিলে এরা কাজ করবেন। যা শুনে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, এতে তার কোনও সমস্যা নেই। সব হাসপাতালের ক্ষত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য় হোক।
     
তবে এই বলেই থেমে থাকেননি মুখ্য় মনত্রী। এদনিই রাজ্য়ে ডাক্তার ,নার্স ও স্বাস্থ্য় কর্মীদের সাহস জোগাতে এবার বিমার অঙ্ক বাড়ান মুখ্য়মন্ত্রী। এক ধাক্কায় এবার ৫ লক্ষ টাকা থেকে বিমার অঙ্ক বেড়ে দাঁড়াল ১০ লক্ষ টাকা। কেবল সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেই এই বিমা প্রয়োজ্য় নয় বলে জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এর আওতায় আনা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীদেরও। 

মুখ্য়মন্ত্রী জাানিয়েছেন, এবার বিমার আওতায় আনা হয়েছে সাফাইকর্মীদের। এছাড়াও অ্যাম্বুল্য়ান্স, আয়া এমনকী করোনার নমুনা ক্য়ুরিয়ারকর্মীদের জন্যও এই বিমা প্রযোজ্য। আগে ডাক্তার, নার্স স্বাস্থ্য় কর্মী ও আইসিডিএস- অর্থাৎ আসা কর্মীদের জন্য় এই বিমার কথা বলেচিল রাজ্য় সরকার। নতুন করে এই তালিকায় এদের সবাই ছাড়াও পুলিশ কর্মীদেরও বিমার আওতায় আনা হয়েছে।  তবে শুধু স্বাস্থ্য় কর্মী বা পুলিশকর্মীরা নন, এর আওতায় আনা হয়েছে তাদের পরিবারকেও।