সংক্ষিপ্ত
- করোনার প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ডাক পেলেন চিরঞ্জিৎ ধীবর
- আগামী সপ্তাহে স্কুলশিক্ষক চিরঞ্জিৎ ধীবর যাচ্ছেন ভুবনেশ্বরে
- সেখানে আইসিএমআর সেন্টারে হবে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল
- তাঁর মা বলেছেন, 'জানি ঝুঁকি আছে, কিন্তু আমার ছেলে দেশের মঙ্গলের জন্যই নিজেকে উৎসর্গ করেছে'
মানব দেহে করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের জন্য বাংলা থেকে ডাক পেলেন চিরঞ্জিৎ ধীবর৷ পেশায় এই স্কুলশিক্ষক দুর্গাপুরের বাসিন্দা। চিরঞ্জিতকে ডেকে পাঠিয়েছে আইসিএমআর অর্থাৎ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ৷
আরও পড়ুন, রাজ্যে প্রথম করোনা-ডেঙ্গুর জোড়া সংক্রমণ, প্রাণ হারালেন দক্ষিণ কলকাতার এক প্রৌঢ়
জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে স্কুলশিক্ষক চিরঞ্জিৎ ধীবর ভুবনেশ্বরে যাচ্ছেন৷ সেখানে আইসিএমআর সেন্টারে হবে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল৷ প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা। তবুও জনস্বার্থে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালে স্বেচ্ছায় অংশ নিতে চান দুর্গাপুরের স্কুলশিক্ষক চিরঞ্জিৎ। প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল নিজেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চে ই-মেল পাঠিয়ে ভলেন্টিয়ার হওয়ার আবেদন জানান। তাঁর আবেদন মেনে এবার ডাক পাঠাল এবার 'আইসিএমআর'। তবে চিরঞ্জিতের এই মহান উদ্যোগে খুশি কাঁকসার মানিকারা প্রাথমিক স্কুলে তাঁর সহকর্মীরা। চিরঞ্জিতের বাবা তপনকুমার ধীবর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী এবং মা প্রতিমাদেবী একজন গৃহবধূ৷ ছেলের এই সিদ্ধান্তে বাবা-মা গর্ব বোধ করছেন৷ এ কাজে যে ঝুঁকি আছে সেটা জেনেও মা প্রতিমাদেবী জানিয়েছেন, 'আমরা সকলেই চাই দেশের মঙ্গল হোক৷ আমার ছেলে দেশের মঙ্গলের জন্যই নিজেকে উৎসর্গ করছে৷'
আরও দেখুন, কলকাতার কোথায় কোথায় নতুন কনটেনমেন্ট জোন, দেখে নিন সেই ছবি
অপরদিকে, আইসিএমআর-এর সঙ্গে দেশেই করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি করছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক। ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল পর্বের জন্য চাই স্বাস্থ্যবান ভলেন্টিয়ার। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে অনেকে ভলেন্টিয়ার হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল সফল হলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে চিরঞ্জিতেরও নাম উঠবে।