সংক্ষিপ্ত
রানিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। অফিসাররা দ্রুত একটি বিশেষ পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন।
কলকাতা যখন ধর্মতলায় প্রাক-দুর্গা উৎসবের জন্য জড়ো হয়েছে, তখন ৩৫ বছর বয়সী রানি প্রসব বেদনায় কাতর হয়ে ফুটপাতে শুয়েছিলেন। শত শত ব্যস্ত মানুষ হেঁটে গেলেও কেউ তাঁকে সাহায্য করতে থামেননি।
কোনও সঙ্গী না পেয়ে এবং যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি তখনই ফুটপাতে পড়ে যান। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এবং নিকটবর্তী ক্রসিং থেকে একজন ট্রাফিক সার্জেন্টকে ডাকেন।
রানিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। অফিসাররা দ্রুত একটি বিশেষ পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন। শীঘ্রই, মাদার টেরেসার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সদস্যরা এলাকায় পৌঁছোন এবং রানিকে ফুটপাতে তাঁর মেয়ের জন্ম দিতে সাহায্য করেন।
এরপর কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্স রানি এবং তার নবজাতককে রাষ্ট্র পরিচালিত নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে মা ও সন্তানের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাহায্য না পেলে রানি ও তাঁর সন্তান, দুজনেই বাঁচতে পারত না।