সংক্ষিপ্ত

পুলিশের হাতে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযোগকারিনি তরুণীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করা হলো বিধান নগর মহকুমা আদালতে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে তরুণী গোপন জবানবন্দি দেয়।

বিধান নগর করুণাময়ীতে শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযোগকারিণী তরুণীর (Woman) গোপন জবানবন্দি (Secret Statement) নেওয়া হল বিধাননগর মহকুমা আদালতে। বুধবার গোপন জবানবন্দি দিয়ে বিধান নগর আদালত থেকে বেরিয়ে গেলেন অভিযোগকারিণী তরুণী। শ্লীলতাহানির ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) অভিষেক মালাকার ও এএসআই সন্দীপ কুমার পাল। সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ের ঘটনা। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা দু'জনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ।তাদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। 

বুধবার অভিযোগকারিনি তরুণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় বিধাননগর মহকুমা আদালতে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয় ওই তরুণী। জানা গিয়েছে, ১০ই ডিসেম্বর রাতে করুণাময়ী মোড় (Karunamayee) থেকে উল্টোডাঙা (Ultadanga) যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন আসানসোলের (Asansol) এক তরুণী। কিন্তু, অনেক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পরও তিনি কোনও গাড়ি পাচ্ছিলেন না। রাত হয়ে যাওয়ায় বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কী করবেন কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। 

ঠিক সেই সময় সেখানে দিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলেন বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর সন্দীপ কুমার পাল। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক মালাকার। পুলিশকে দেখে কিছুটা হলেও মনে ভরসা পান ওই তরুণী। এরপর পুলিশের তরফে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, অত রাতে তিনি কী করছেন সেখানে? 

তার উত্তরে ওই তরুণী জানান, তিনি আসানসোলের দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু, ফেরার জন্য কোনও গাড়ি পাচ্ছেন না। তারপর পুলিশকর্মীদের কাছেই লিফট চান তিনি। এরপরই দুই অভিযুক্ত তাঁকে নিয়ে বাইকে করে বিধাননগরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোড়ার পর বাইপাসের ধারে নামিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বাইকে লিফট দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গন্তব্যে না পৌঁছে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানো হয় তাঁকে।

এরপরই নিজের ফোনে চার্জ না থাকায় ওই তরুণী পুলিশ অফিসারের ফোন থেকে তার এক পরিচিতকে ফোন করে যোগাযোগ করেন। তারপর বন্ধুর সঙ্গে কসবা থানার (Kosba Police Station) দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানেই ওই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। ওই তরুণীর অভিযোগ শোনা মাত্রই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় কসবা থানার পুলিশ। অভিযোগকারিনী এবং তাঁর বন্ধুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় তদন্তকারীরা। এরপর বিধাননগর নর্থ থানায় (Bidhannagar North Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী।