সংক্ষিপ্ত

  • বাচ্চা জন্মানোর পরেই চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেন কাঁদাতে
  • ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর হাসপাতালে জন্ম হয় এক শিশু কন্যার
  • জন্মের পর থেকেই তাঁকে কাঁদতে পারেনি চিকিৎসকেরা
  • উল্টে চিকিৎসকদের দিকে রাগী মুখে তাকিয়ে থাকে নবজাতক

একটি বাচ্চা জন্মানোর পরেই চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেন কাঁদাতে। এর কারণ হল নবজাতকের ফুসফুস সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা জনতেই এই কৌশল থাকে চিকিৎসকদের। ১৩ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর একটি হাসপাতালে জন্ম হয় একটি শিশু কন্যার। জন্মের পর থেকেই তাঁকে কাঁদতে পারেনি চিকিৎসকেরা। তাঁর এ্যাম্বিক্যাল কর্ড কাটার আগে থেকেই চিকিৎসকেরা তাঁকে কাঁদানোর চেষ্টা করেন। উল্টে চিকিৎসকদের দিকে রাগী মুখে তাকিয়ে থাকে নবজাতক। নবজাতকের এই ছবিই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুন- 'বাহুবলি' সাজলেন ট্রাম্প, ভিডিও পোস্ট টুইটারে

আরও পড়ুন- সফরের আগেই ইমরানকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের, মোদীর মন পাওয়া নাকি ফের মধ্যস্থতা

নবজাতক সেই শিশু কন্যার নাম  তাঁর অভিভাবকরা রাখেন ইসাবেলা পেরেরা ডি জিসাস। রিও ডি জেনিরোর সংলগ্ন সেই হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন,  এর আগে কোনও নবজাতকের এমন অভিব্যক্তি তাঁরা দেখার সুযোগ দেখেনি। তাই এই বিরল দৃশ্য ঘটনাস্থলেই ক্যামেরাবন্দী করে নবজাতকের বাবা। যিনি একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার, নাম রড্রিগো কুনস্টম্যান। তাঁকে কাঁদানোর চেষ্টায় ইসাবেলা-র এই অভিব্যক্তিতে হতবাক সকল চিকিৎসক। জানা গিয়েছে, এ্যাম্বিক্যাল কর্ড কাটার পরে কাঁদতে শুরু করেছিল এই 'রাগী' শিশু কন্যা।

ইসাবেলা-র বাবা জানিয়েছেন, 'এই মুহূর্তটা কখনোই ভোলার নয়। একদিকে খুব দুঃশ্চিন্তা তার মধ্যে জন্মানোর ঠিক পরেই মেয়ের এমন অভিব্যক্তি যদি ক্যামেরাবন্দী না করতাম তবে কিছুতেই আমার স্ত্রী-কে এই দৃশ্য দেখাতে পারতাম না। চিকিৎসকেরা রীতিমতো নাজেহাল হয়েগিয়েছিল ওকে কাঁদানোর চেষ্টায়। তারপর ওর এমন এক্সপ্রেশনে চিকিৎসকেরা হেসেই ফেলেছে।'