সংক্ষিপ্ত

করোনা মহামারী থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এমনকী, খুব প্রয়োজন না হলে, অনেকে আজকাল ডাক্তারের কাছেও যাচ্ছেন না। ফলে, অজান্তে শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলে তা ধরা পড়ছে না। 

স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) নিয়ে একাধিক ধারণা রয়েছে সকলের মধ্যে। কেউ কেউ ভাবেন বড় স্তন হলে বাড়ে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি। অনেকে আবার মনে করেন দীর্ঘক্ষণ অন্তর্বাস পরলে বাড়ে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি। এমনকী, অধিকাংশই ভাবেন ব্রেস্ট ক্যান্সার শুধু মেয়েদের হয়। এবার গবেষণায় (Research) উঠে এল আরও বড় তথ্য। জানা গিয়েছে, করোনা (Corona) কালে বাড়ছে স্তন ক্যান্সার। 

করোনা মহামারী থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এমনকী, খুব প্রয়োজন না হলে, অনেকে আজকাল ডাক্তারের কাছেও যাচ্ছেন না। ফলে, অজান্তে শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলে তা ধরা পড়ছে না। ফলে, তৈরি হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতি। ACTREC, মুম্বাই-এর ডিরেক্টর, অঙ্কোলজিস্ট সুদীপ গুপ্ত (Sudip Gupta) জানান, করোনা কালে ব্রেস্ট ক্যান্সারের বৃদ্ধি যথেষ্ট পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। তাই মহিলাদের তিনি স্তন পরীক্ষা চালিয়ে যেতে এবং ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছেন।

আরও পড়ুন: Heath Tips: ছোট ছোট ভুলেই ওষুধ খাওয়ার পরও বাড়ছে প্রেসার, হাই প্রেসারে আক্রান্ত রোগীরা কখনই এই কাজ করবেন না


ডাঃ গুপ্তা বলেন, যত আগে রোগ নির্ণয় করা যাবে, সফল চিকিৎসার (Treatment) সম্ভাবনা তত বেশি। স্তন ক্যান্সারের স্ক্রীনিং এবং চিকিৎসায় বিলম্বের ফলে আগামী দশকে মৃত্যুর হার সর্বোচ্চে পৌঁছে গিয়েছে। আরও বলেছেন যে, স্তন ক্যান্সার প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসা করা সহজ এবং রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। তাই তিনি ৩০ বছরের পর থেকেই সকলকে সতর্ক হতে বলেছেন। আর ৪০-এর কোটা পার করলে নিয়মিত স্ক্রিনিং করতে হবে। 

আরও পড়ুন: Health Tips: সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে বয়স কি সত্যি গুরুত্বপূর্ণ, জেনে নিন ৩০-এর কোটায় মা হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কি না

সচেতনতার অভাবে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer) মতো মারণরোগ। বর্তমানে প্রতি ২২ জন মহিলার মধ্যে ১ জন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যেখানে গোটা বিশ্বে (World) স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাদের বয়স ৫০, সেখানে ভারত্ ২০ থেকে ৩০ বছরের মহিলারাও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এই রোগর প্রকোপ বাড়ছে শুধুই সতর্কতার অভাবে। তাই শরীরে কয়টি পরিবর্তন দেখা দিলে সতর্ক হন। 
কম-বেশি সকলের স্তনেই লাম্প থাকে। এর মধ্যে ক্যানসারাস ও নন ক্যানসারাস ল্যাম্প থাকে। যে লাম্পগুলো শক্ত হয় এবং অবস্থার পরিবর্তন করে না, সেগুলো থেকে ক্যান্সার হতে পারে। 
স্তনের আকার আস্বাভাবিক পরিবর্তন হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এমনকী, স্তনের রং পরিবর্তন মানে হঠাৎ করে লাল কিংবা লালচে রঙের হয়ে যাওয়া ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ। 
স্তন অস্বাভাবিক ভাবে কুঁচকে গেলে কিংবা স্তনের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। 
 

YouTube video player