সংক্ষিপ্ত

হাই ব্লাড প্রেসার ধরা পড়লে ডাক্তারি মতে সময় মতো ওষুধ খেলেই হবে না। হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়টি জিনিস মেনে চলতে হবে। মদ্যপান, প্রসেস ফুড খাওয়া এ ধরনের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। এড়িয়ে চলতে হবে নুন, কফি ও আচার খাওয়ার অভ্যেস।

দ্রুত গতি বয়ে চলা জীবনে রয়েছে অতিরিক্ত কাজের চাপ। যার জন্য স্ট্রেস বা মানসিক চাপের (Stress) প্রধান কারণ। এর ফল স্বরুপ শরীরে দেখা দিচ্ছে নানা রকমের সমস্যার। এর মধ্যে একটি হল  হাই ব্লাড প্রেসার (High Blood Pressure) বা উচ্চ রক্ত চাপ অথবা হাইপার টেনশন। আজকাল এই সমস্যায় অনেকেই ভুগে চলছেন। এমনকী, যে কোনও বয়সেই দেখা দিচ্ছে হাই ব্লাড প্রেসার। আর এই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার এক মুহূর্তেই ডেকে আনতে পারে চরম পরিণতি। করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্টফেল, স্ট্রোক, কিডনি অকেজো ইত্যাদি মারাত্মক সমস্যাগুলো উচ্চ রক্তচাপের কারণে দেখা দিতে পারে। হাই প্রেসারের (High Blood Pressure) কঠিন পরিণতি সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহান (Informed)। সে কারণ, দেরি না করে ৯৫ শতাংশ মানুষ ডাক্তারি পরামর্শ নেন। ডাক্তারি মতে সময় মতো ওষুধ খেলেই হবে না। হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়টি জিনিস মেনে চলতে হবে। ব্লাড প্রেসারের রোগীরা নিজের ভুলেই নিজের বিপদ ডেকে আনেন। 
ওজন নিয়ন্ত্রণ- প্রথমত ওজন (Weight) রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তাহলে আপনি মাত্র ৩ থেকে ৮ কেজি ওজন কমিয়ে রক্তচাপ (Blood Pressure) নিয়ন্ত্রণে করতে পারেন। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, স্থূলতা রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সবার আগে ওজন কমান। ওজন কমাতে গিয়ে আবার না খেয়ে থাকবেন না। এতে বিপদ বাড়বে। ব্লাড প্রেসারের রোগীদের কোন পদ্ধতিতে ওজন কমানো উচিত, তা জেনে নিন। ডাক্তারি পরামর্শ নেবেন সবার আগে। 

আরও পড়ুন: Health Tips: সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে নেন, অতিরিক্ত ঘুম থেকে হতে পারে স্ট্রোক

প্রসেস ফুড খাবেন না- ওষুধ খাচ্ছেন মানে এই নয়, যে আপনি যা খুশি খেতে পারেন। একেবারে এড়িয়ে চলুন প্রসেস ফুড (Processed Food)। এতে নুন (Salt) ও চিনি (Sugar) বেশি থাকে। যা ব্লাড প্রেসারের রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। আচার, কফি এবং নুন খাওয়া এই ধরনের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও, অতিরিক্ত তেল-মশলা খাওয়া উচিত নয়। প্রেসারের রোগীরা সবুজ সবজি রাখুন রোজকার খাদ্যতালিকায়। নিয়মিত ফল খান।  

আরওপড়ুন: Health Tips: সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে বয়স কি সত্যি গুরুত্বপূর্ণ, জেনে নিন ৩০-এর কোটায় মা হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কি না


মদ্যপান ও ধূমপান করবেন না- গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে অতিরিক্ত মদ্য পান করলে রক্তচাপ অনেক বেড়ে যায় যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া এটাও মনে রাখা উচিত যে অ্যালকোহল ও সফট ড্রিংক্সে প্রচুর ক্যালোরি আছে যা ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।  তাই অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় কিংবা সফট ড্রিংক্স না খেয়ে তাজা ফলের রস কিংবা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও বন্ধ করুন ধূমপান। এটিও শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
 

YouTube video player