সংক্ষিপ্ত
- প্রত্যেকের মানুষেরই ঝিঁঝি ধরার প্রবণতা থাকে
- বসা বা শোয়ার সময় স্নায়ুতে চাপ পড়লেই ঝিঁঝির সৃষ্টি হয়
- উচ্চ রক্তচাপ ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীদের এটা বেশি হয়
- ঝিঁঝি।দীর্ঘসময় ঝিঁঝি ধরলে,চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
ছোট কিংবা বড় প্রত্যেকের মানুষেরই অনেক সময় ঝিঁঝি ধরার প্রবণতা থাকে। কৈশোরে অনেক সময় এই ঝিঁঝি ধরার জন্য অনেক হাত বা পা নাড়াতে না পেরে খেলার মাঠে ক্লিন বোল্ড হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামান না। তবে এটা ধারাবাহিক ভাবে হলে অবশ্যই মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়ায়। সেক্ষেত্রে দীর্ঘসময় ঝিঁঝি ধরলে,চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।তবে আজ জেনে নেওয়া যাক,হাত বা পায়ে ঝিঁঝি ধরার আসল কারন-
টানা একভাবে বসা বা শোওয়ার পর যদি হাত বা পা একই জায়গায় বেশিক্ষণ থাকে তখন ,সেই জায়গাটার ওপর লম্বা সময় ধরে চাপ পড়ে । তখন ঝিঁঝি ধরার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ আমাদের যে ধরনের ঝিঁঝি ধরার অভিজ্ঞতা হয়,তা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। তবে অনেক সময় ধারাবাহিক ভাবে হাত বা পা এ ঝিঁঝি ধরে। প্রধানত উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বা ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এটা হয়। কোনো একটি অঙ্গ অনেক সময় পুরোপুরি অচেতন লাগে।
ঝিঁঝি ধরার অনুভূতিটার পিছনের একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে।মানব শরীরের প্রায় সব জায়গাতেই অসংখ্য স্নায়ু রয়েছে। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে অ্যাকশন এবং ডেনড্রন। যেগুলো মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য অংশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে থাকে। বসা বা শোয়ার সময় সেই স্নায়ুর কোনো একটিতে চাপ পড়লে দেহের ঐ অংশে রক্ত সঞ্চালনকারী শিরার ওপর চাপ পড়ে। এর ফলে শরীরের ঐ অংশে রক্ত চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আর এর ফলেই সৃষ্টি হয় ঝিঁঝি ।