সংক্ষিপ্ত
- ক্লান্তি দূর করতে চা বা কফির জায়গায় অন্য কিছু ভাবা যায় না
- গ্রীষ্ম হোক বা শীত, এক কাপ চা ও কফি খেয়েই ক্ষণিকের স্বস্তি পাওয়া যায়
- কিন্তু চা খাওয়ার সময়েও একটি বিশেষ জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন
- চা খাওয়ার ধরন ঠিক না থাকলে ক্যানসার জাঁকিয়ে বসতে পারে শরীরে
ক্লান্তি দূর করতে চা বা কফির জায়গায় অন্য কিছু ভাবা যায় না। গ্রীষ্ম হোক বা শীত, এক কাপ চা ও কফি খেয়েই ক্ষণিকের স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু চা খাওয়ার সময়েও একটি বিশেষ জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন। চা খাওয়ার ধরন ঠিক না থাকলে ক্যানসার জাঁকিয়ে বসতে পারে শরীরে।
এক হেলথ ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত গরম চা খাওয়ার অভ্যেস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। গবেষকদের দাবি, খুব বেশি গরম চা বা কফি খাওয়ার অভ্যেস যাঁদের আছে তাঁদের গলায় বা কণ্ঠনালীতে ক্যানসারের সম্ভাবনা প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি থাকে।
অ্যামেরিকান ক্যানসার সোসাইটি এই বিষয়ে একটি গবেষণা চালান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর এক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছিল, যতক্ষণ এই গরম চা বা কফির তাপমাত্রা ৬৫ ডিগ্রি থাকে, তখন তা শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্য়কর। কিন্তু ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি গরম চা বা কফি খাওয়ার অভ্য়েস থাকলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এত গরম থাকলে তা কণ্ঠনালীর জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর।
আরও পড়ুনঃ ডেস্কে বসে একভাবে কাজ করেন- জেনে নিন কী কী সমস্যা ডেকে আনছেন
চা খাচ্ছেন না কি কফি, সেটা বিষয় নয়। কিন্তু কতটা গরম কফি বা চা খাচ্ছেন সেটাই দেখতে হবে। চিন, ইরান, তুরষ্ক, ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যাঁরা খুব বেশি গরম পানীয় খান, তাঁদের গলায় ক্য়ানসারের সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
কিন্তু গরম চা কফির আবার উপকারও রয়েছে। জরায়ু,স্তন, যকৃৎ ক্যানসারের মোকাবিলা করতে গরম পানীয় কার্যকরী। তাই গরম চা-কফি খান। কিন্তু দেখবেন তা যেন মাত্রাছাড়া গরম না হয়।