সংক্ষিপ্ত
- সারা বিশ্বে লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার
- লকডাউন চলাকালীন বদলে যাচ্ছে একাধিক ব্যাঙ্কের কাজের নিয়ম
- ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখা খোলা থাকবে প্রতি ১ দিন অন্তর
- এটিএম পরিষেবা পুরোপুরি সচল থাকবে
করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। মহামারি থেকে নিজেকে বাঁচাতে সমস্ত সচেতনতা অবলম্বন করেছেন প্রত্যেকেই। করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। আতঙ্কের আর এক নাম করোনা। একের পর এক শহরে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। এই করোনা আতঙ্ক এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। মুহূর্তের মধ্যে একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যেই করোনা আতঙ্কে জেরবার বিশ্ববাসী । ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এই লকডাউন চলাকালীন সকলেই ঘরবন্দি। লকডাউন চলাকালীন বদলে যাচ্ছে একাধিক ব্যাঙ্কের কাজের নিয়ম।
আরও পড়ুন-করোনার ভয়ে 'করুনার' দশা, নিজের লকডাউন কাহিনি জানালেন এই ছাত্রী...
আজ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখা খোলা থাকবে প্রতি ১ দিন অন্তর। স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছ। আজ থেকেই সেই নিয়ম কার্যকরী হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া তাদের তরফে নোটিফিকেশন জারি করে দিয়েছে। ব্লক, গ্রাম, পঞ্চায়েতের শাখাগুলি খোলা থাকবে চলতি মাসের ২৬ ও ৩০ তারিখ। এবং আগামী অর্থাৎ এপ্রিল মাসের ২,৪,৭,৯,১১,১৩ তারিখ। বাকি শাখাগুলি খোলা থাকবে ২৭ ও ৩১ তারিখ। এবং এপ্রিল মাসের ৩,৬,৮,১৩ তারিখ। ১০ এবং ১৪ এপ্রিল ব্যাঙ্কের কোনও শাখা খোলা থাকবে না।
আরও পড়ুন-দেশজুড়ে লকডাউন, সাময়িকভাবে পরিষেবা বন্ধ করল ফ্লিপকার্ট...
রাজ্যের মেট্রো শহর এবং আধা শহরগুলিতে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা একটি ব্যাঙ্কের একটি শাখাই খোলা থাকবে। একাধিক শাখা খোলা রাখা হবে না। বাকি শাখাগুলি আগামী ১৪ এপ্রিল অবধি বন্ধ রাখা হবে। আজ থেকেই গ্রামীণ শাখাগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে এটিএম পরিষেবা পুরোপুরি সচল থাকবে। এটিএম-এ যাতে টাকার কোনও অভাব না হয় সেদিকেই পুরোপুরি নজর রাখা হবে। কোন কোন শাখা কবে কবে খোলা থাকবে আর কবেই বা বন্ধ থাকবে তা নোটিশ দিতে বলা হয়েছে। এমনকী যদি লকডাউনের সময়সীমা আরও বেড়ে যায় তাও নোটিস দিয়ে জানাতে হবে। আজ থেকে মেট্রো শহরে ২৯ শতাংশ এবং গ্রামে ৫০ শতাংশ ব্যাঙ্কের শাখা খুলে রাখা হবে। যদিও ব্যাঙ্কে যাওয়ার পর কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রথমত দুরত্ব বজায় রাখা, এছাড়া যতটা সম্ভব অনলাইনে পুরো কাজটা সারার জন্যও অনুরোধ করা হচ্ছে।