সংক্ষিপ্ত
- আগেকার দিনে অনেকেই খোসাসুদ্ধ ফলমূল খেতেন
- এখন সবাই ভাল করে খোসা ছাড়িয়ে খান
- কিন্তু খোসাতে থাকে নানান পুষ্টিগুণ, রাফেজ
- তাই ভাল করে ধুয়ে নিয়ে খোসাসুদ্ধ ফলমূল খান
আগে অনেকেই খোসাসুদ্ধ শশা কামড়ে কামড়ে মুড়ি দিয়ে খেতেন। এখনও খান। তবে সংখ্য়ায় কম। তবে আগেকার দিনে শুধু শসাই কেন, অনেক ফলই কিন্তু খোসাসুদ্ধ খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। এমনকি এই তালিকায় পড়ত সবজিও। খোসা না-ছাড়িয়ে আলুর তরকারি কচুরি দিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ তো এই সেদিন অবধি ছিল। কিন্তু এখন যেন সব পাল্টে গিয়েছে। সব যেন বেশিরকম কেটেছেঁটে ফেলা হচ্ছে। আর তাতে সমস্য়া বাড়ছে বই কমছে না।
যেমন শসার খোসা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের প্রাকৃতিক সিলিকা, যা ত্বক ও চুলের জন্য় উপকারী। আবার আপেলের খোসায় রয়েছে ট্রিটারপেনয়েডস। যা ক্য়ানসার প্রতিরোধী।
বিভিন্ন ফলের মতো বিভিন্ন সবজির খোসাও কিন্তু কম উপকারী নয়। যেমন বেগুনের খোসায় রয়েছে নাসুনিন নামে এক ধরনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। কোষের ক্ষয় রুখতে এটি খুবই কার্যকরী। অনেকে আবার গাঁজর চেঁচে নিয়ে রান্না করেন। কিন্তু জেনে রাখবেন, গাঁজরের খোসাতে যা আছে তা ত্বক, চোখ ও কোলনের স্বাস্থ্য় রক্ষা করে। অনেক সময়ে আমরা মিষ্টি আলু বা রাঙালুর খোসা ছাড়িয়ে খাই। এই খোসায় কিন্তু রয়েছে ভিটামিন-সি, বিটা ক্য়ারোটিন, পটাশিয়াম।
শুধু এইসব পুষ্টিগুণই কিন্তু নয়। আরও অনেক উপকারিতা আছে খোসাসুদ্ধ ফল খাওয়ার বা সবজি রান্না করার। কারণ, এই খোসার মধ্য়েই রয়েছে বিপুল পরিমাণ রাফেজ। যা কোষ্ঠকাঠিন্য় দূর করে। তবে হ্য়াঁ, কিছু বিষয় এখানে খেয়াল রাখতে হবে। আগে কিন্তু এত বেশি করে কীটনাশক দেওয়া হত না ফসলের ওপর। এখন তা হয়। তাই খোসাসুদ্ধ ফল বা সবজি খেলে, শরীরে বেশি করে কীটনাশক চলে আসে। সেক্ষেত্রে যা করা উচিত তা হল, খুব ভাল করে খোসাসুদ্ধ ফল বা সবজি ধুয়ে নেওয়া। অনেকে তো পটাশিয়াম পারম্য়াঙ্গানেট দিয়ে ধোয়ার কথা বলেন। যাতে করে কীটনাশকের বিষ চলে যায়। তবে পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট দিয়ে না-ধুয়েও চলতে পারে। তার চেয়ে বরং, একটু বেশি সময় ধরে জলে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলাই ভাল। তাতে করে খোসার পুষ্টিগুণও থাকে। আবার কীটনাশকের বিষও দূর হয়।