সংক্ষিপ্ত
কুসুমে কোলেস্টেরল, ভিটামিন ও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে হৃদরোহে আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে রেড মিট, অ্যালকোহোল ও কফির থেকেও ডিম ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।
ঘুম থেকে উঠত দেরি হয়ে গিয়েছে! এদিকে বাচ্চার স্কুলের সময় হয়ে গিয়েছে। তারপরেই নিজের অফিস। এরকম অবস্থায় খালি পেটে বেরনো ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু ফ্রিজে ডিম থাকলে চট করেই বানিয়ে নেওয়া যায় ব্রেকফাস্ট। তবে এটা অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেলে ডিমই আপনায় মৃত্যুপথযাত্রী করে তুলতে পারে। আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের র্জানাল ‘জামা’-য় একটি গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে তিন থেকে চারটি ডিম খেলে, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
কুসুমে কোলেস্টেরল, ভিটামিন ও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে হৃদরোহে আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে রেড মিট, অ্যালকোহোল ও কফির থেকেও ডিম ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।
যদিও ২০০৪-২০০৭ সালে হওয়া একটি গবেষণার মাধ্যমে চিনের বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, রোজ ডায়েটে একটি করে ডিম থাকলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ২৬ শতাংশ কমে যায়। আন্তর্জাতিক হেলথ র্জানাল হেলথলাইন-এ এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি হওয়া গবেষণা উলটো কথা বলছে।
গবেষকরা ৩০০০০ হাজার প্রাপ্ত বয়স্কের উপরে এই সমীক্ষা করেন। রিপোর্টে দেখা যায়, রোজ একটি করে ডিম খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়ে যায় এবং শীঘ্র মৃত্যুর সম্ভাবনাও ১৮ শতাংশ বেড়ে যায়। সপ্তাহে ৩-৪টে ডিম খেলেও হার্টের অসুখের সম্ভাবনা ৬ শতাংশ বাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত কোলেস্টেরলের কারণেই এই সমস্যা। আজকাল ডিমের সঙ্গে মাখন, চিজ, বেকন ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যেস তৈরি হয়েছে। যার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সেই জন্যই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও দিন দিন বাড়ছে। তাই চিকিৎসকরা কুলুম ছাড়া এবং এই জিনিসগুলি দিয়ে ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।