সংক্ষিপ্ত

  • কানে ব্যাথার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই
  • এই কানে ব্যাথার সমস্যারও আছে মুক্তির উপায়
  • এরজন্য আছে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকাও
  • থাকল এই সমস্যারই কিছু সহজ সমাধান 

অনেকেই আছেন যারা কানে ব্যাথার সমস্যায় ভোগেন। নানা কারণে হয়ে থাকে এই কানে ব্যাথা। অনেক সময় ইনফেকশনের কারণে কানে ব্যাথা হয়ে থাকে। অনেকসময় আবার কোনও ভাবে জল ঢুকে গেলেও কানে ব্যাথা হয়ে থাকা। তবে কারণ যাই হোক না কেন ঘরোয়া উপায়ে কানের সমস্যার চটজলদি সমাধান পেতে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি-

(১) গরম বা ঠান্ডার সেক: তীব্র কানে ব্যাথা থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে কানে গরম বা ঠান্ডা কিছুর সেক দিতে পারেন। হট প্যাড দিয়ে ২০ মিনিট সেক করলে বা পেপার টাওয়েলের মধ্যে করে বরফ নিয়ে ২০ মিনিট সেক করলে আরাম মিলতে পারে কানে ব্যাথায়। 

(২)কানে ম্যাসাজ: কানের চার পাশে হালকা হাতে  ম্যাসাজ করলে কানের ব্যাথার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।কানের আশে পাশের অঞ্চলে ম্যাসাজ করলেও অনেক সময় কানে ব্যাথা কমে। তেমনই যদি কানের পিছনের অংশে ব্যাথা করে তবে তবে চোয়াল এবং ঘাড়ের পেশীগুলি ম্যাসেজ করার চেষ্টা করুন। এতে ব্যাথা অনেকটা কমে যায়।

(৩)রসুন: রসুনের গুনাগুন অনেক। রসুন অনেক ব্যাথারই টোটকা হিসাবে ব্যবহর করা হয়। কানে কোনওরকম ইনফেকশন হলে সে ক্ষেত্রে রসুন ব্যবহর করা যেতে পারে। রসুন তেল যা কানের ব্যাথার ক্ষেত্রে অদ্ভুত কার্যকরি। সেই রসুন তেল বানাতে প্রথমে তেল গরম করে তাতে ২-৩ টি রসুনের কোয়া দিয়ে দিন। এর পরে রসুনের রঙ যতক্ষণ না কালচে হয়ে আসছে ততক্ষণ রসুনটা তেলের মধ্যে ফোটাতে থাকুন। এবার এই তেলের ২ফোটা কানে ব্যাথা হলেই কানে দিন দেখবেন কানের ব্যাথা অনেকটা কমে যাবে। 

(৪) পেঁয়াজ: শুধু রসুনই নয় কানে ব্যাথা হলে ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজও। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে একটি গোটা পেঁয়াজ মাইক্রোওয়েভে ১-২ মিনিটের সেকে নিন তবে এটা গ্যাসেও করতে পারেন। গরম করার পরে ওর থেকে যে জলটা বেরোবে সেটাকেই ইয়ার ড্রপ হিসাবে ব্যবহর করুন। এর পরে ১০ মিনিটের জন্য শুয়ে থাকুন। তার পরে কান থেকে তরলটি বেড়িয়ে যেতে দিন। এই একই উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন আদাও। 

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: কানে ব্যাথার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারও। উষ্ম গরম জলের সঙ্গে সম পরিমাণে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এরপরে যে কানটিতে ব্যাথা সেটিতে ৫-১০ ফোঁটা এই মিশ্রণটি দিন দেখবেন ব্যাথা অনেক কমে গেছে।

ঘড়য়া উপায়ে এই সমস্য থেকে সহজে মুক্তি পেলেও। সমস্যা গুরুতর হলে ডাক্তার একবার অবশ্যই দেখিয়ে নিতে ভুলবেননা।