সংক্ষিপ্ত

বাজি বা প্রদীপ থেকে পুড়ে যেতেই পারে। সেক্ষেত্র পোড়া অংশ দ্রুত সাধারণ তাপমাত্রার জল দিতে হবে। আগুনের কাছ থেকে ব্যক্তি বা মহিলাকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পোড়া অংশ দেওয়ার জন্য বরফ একদমই ঠিক নয়। 

শুরু হয়ে গেছে আলোর উৎসব। আজ অর্থাৎ সোমবার কালীপুজো, তারপরই দীপাবলি। টানা দুই থেকে তিন দিন আলো জ্বালানো আর বাজি পোড়ানোর মধ্যে দিয়েই উৎসব পালন করা হবে। আলোর এই উৎসবে একটাই সমস্যা - তা হল বাজি বা আতসবাজি থেকে তৈরি হওয়া পোড়া জখম। কিন্তু এই আঘাতের প্রাথমিক চিকিৎসায় অনেকেই অনেক ভুল করে ফেলেন। যা তাদের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। পোড়া আঘাতের সাথে সর্বোত্তমভাবে মোকাবেলা করার জন্য একজনকে অবশ্যই প্রাথমিক চিকিত্সার টিপস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তবে যাদের আঘাত গুরুতর তারা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু গুরুতর আঘাত হলে সারতে অনেক সময় লাগে। বিশেষজ্ঞরা পুড়ে যাওয়া মোকাবিলা করার করার জন্য বেশকতগুলি চিপস দিয়েছেন। 

পোড়ার জখম থেকে বাঁচতে প্রথম উপায়
বাজি বা প্রদীপ থেকে পুড়ে যেতেই পারে। সেক্ষেত্র পোড়া অংশ দ্রুত সাধারণ তাপমাত্রার জল দিতে হবে। আগুনের কাছ থেকে ব্যক্তি বা মহিলাকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পোড়া অংশ দেওয়ার জন্য বরফ একদমই ঠিক নয়। বরফের পরিবর্তে সাধারণ তাপমাত্রার জল অনেক কার্যকর। পোড়া অংশে সাধারণত পাঁচ মিনিট ঠান্ডা জল দিলে সমস্যা অনেক কম হয়। জ্বালা কমে যায়। ফোসকা কম পড়ে। পোড়া জায়গায় লাগানোর জন্য বার্নল খুবই উপকারী। 

কালীপুজো বা দীপাবলির উৎসবে পোড়ার ক্ষত থেকে বাঁচতে কী কী করণীয়- 
পোড়া অংশ কখনই টুথপেস্ট বা সবজির খোসা দেবেন না। এতে ফল বিপরীত হতে পারে। পোড়া অংশে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। 


হাতে করে বাজি বা বোম ফাটাতে গেলে যদি পুড়ে যায় , তার ক্ষতযদি গভীর হয়ে তাহলে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়া উচিৎ। সেক্ষেত্রে পোড়া অংশ জল না লাগানোই শ্রেয়। 

ব্যথা থেকে উপশম পেতে আহত অংশটি উঁচু করে রাখতে হবে। একজন বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করা একটি ভাল ফলাফলের জন্য সঠিক পদ্ধতি যাতে গুরুত্বপূর্ণ ঘন্টাগুলি নষ্ট না হয়।

খুব ছোট পোড়ার ক্ষেত্রে যেখানে ত্বকে ফোসকা পড়েনি বা খোসা ছাড়েনি, সেখানে অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করা যেতে পারে। ত্বকের খোসা ছাড়ানো ছোট জায়গায় সিলভার সালফাডিয়াজিন মলম লাগাতে পারেন।

পোড়া ক্ষত সম্পর্কে আরেকটি ভুল ধারণা হল ক্ষতস্থান খোলা রাখতে হবে। পোড়া ক্ষতগুলি ভালভাবে নিরাময়ের জন্য অবশ্যই একটি বন্ধ ড্রেসিং থাকতে হবে। একটি অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগাতে হবে। 

শিশুদের কিছু হলে কোনও ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে না লাগিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। 

কালুপুজো বা দীপাবলিতে বাজি কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় হলঃ 
আঁটোসাটো পোশাক পরুন। ঢিলা পোশাক বিপজ্জনক। 
সুতির পোশাক পরাই শ্রেয়। 
হাতে করে পটকা, বাজি, বা বোমা ফাটাবেন না। যদিও শব্দবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 
পটকা সর্বদা একটি নিরাপদ স্থানে ফেলুন। 
কাপড়ে আগুন লাগলে কখনই দৌড়াবেন না। কাপড় খুলে ফেলুন। ১৫ মিনিট টাকা পোড়া অংশ জল দিন। 
বাজি পুড়ানোর সময় অবশ্যই শিশুদের সঙ্গে বা পাশে থাকুন। তাদের একা রাখবেন না।