সংক্ষিপ্ত

বলিরেখা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়সটা যেন একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। নতুন বছর শুরুর আগেই এই ট্রিকস কাজে লাগিয়েই কমিয়ে ফেলুন মুখের ভাঁজ।

হাতে মাত্র ২ দিন, তারপরেই শুরু হবে নতুন একটি বছর। পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানোর পালা । নতুন স্বপ্ন -নতুন আশা- নতুন ভরসা নিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তবে বছর শেষের আগে নিজেকে একটু যত্ন নেওয়ার সময় এসে গেছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখা একটা বিরাট সমস্যা। কপালে ভাঁজ পড়ছে, চোখের চারপাশ গুলোও যেন আগের থেকে কুঁচকে গেছে। আর এই বলিরেখা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়সটা যেন একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। নতুন বছর শুরুর আগেই এই ট্রিকস কাজে লাগিয়েই কমিয়ে ফেলুন মুখের ভাঁজ।

ত্বকে বলিরেখা পড়লে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। ঠিকঠাক ট্রিটমেন্ট করলেই সেই সমস্যা নিমেষে সমাধান হতে পারে। অ্যান্টি এজিং ক্রিমের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার লাগানো ভীষণ জরুরি। ময়েশ্চারাইজারে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই থাকা ভীষণ জরুরি। প্রতিদিন নিয়ম করে অর্গান বা সানফ্লাওয়ার অয়েল নিয়ম করে ত্বকে লাগান।রেটিনল যুক্ত ক্রিম লাগাতে পারেন। যা ত্বকে খুব তাড়াতাড়ি মিশে গিয়ে ত্বকের মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে। সপ্তাহে তিন দিন এটা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক টানটান ও মসৃণ থাকবে।

 

 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রতিদিন বলিরেখার চারপাশে লাগিয়ে শুয়ে নিন। যে কোনও ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে মিশিয়েও লাগাতে পারেন। বয়স বাড়লেও মুহূর্তে কমিয়ে ফেলতে পারবেন নিজের বয়স। প্রথমত, রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সূর্যের ইউভি রশ্মি ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলে। রোদে বেরোলেও এসপিএফ ৩০ সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। বাড়িতেই দই এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান। এতে ত্বক আর্দ্র থাকে। স্নানের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। পেট পরিস্কার থাকাটা সবার আগে জরুরি। প্রতিদিন ৩-৪ লিটার করে জল খান। এতে শরীর ডিহাইড্রেশন হয় না। প্রতিদিনের ডায়েটে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমও বিশেষ জরুরি। তাই সবার আগে ঘুমের সময় ঠিক রাখুন। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকলেও বলিরেখা পড়ে।  শুধু মাখলেই হল না, প্রতিদিনের ডায়েট তালিকায় নজর রাখুন। খাবারের তালিকায় নিজেই কিছু পরিবর্তন আনুন। প্রতিদিনের তালিকায় মাছ, মাংসের পরিমাণ কমিয়ে সব্জি, টকদই, ডাল জাতীয় খাবার খান। প্রচুর পরিমানে জল খান। প্রতিদিন একগ্লাস করে দুধ খাবেন। যদি খেতে ভাল না লাগে তাহলে ছানা করে খান। নিজের উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী খাবারের তালিকা বানান।বেশি বয়স হয়ে গেলে খাবারের পরিমাণ কমান। কম বয়সে যে সমস্ত খাবার খেতেন, বেশি বয়স হলে তা কখনওই খাওয়া যায় না। বেশি বয়স হলে শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা যায়। তাই খাবার আগে একটু বুঝে শুনে তবেই খাবেন। ত্বকের যত্ন নিলেই হল না, শরীরও সুস্থ রাখা দরকার। হাজারো কর্মব্যস্ততার মধ্যেও খানিকটা সময় বার করে যোগাসন কিংবা ব্যায়াম করুন।