হোমমেড শেভ লোশন: শেভ লোশন এবং আফটার শেভ লোশনে রাসায়নিকের পরিমাণ বেশি থাকে, যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এটি কিনতেও বেশ টাকা খরচ হয়, তাই বাড়িতেই এমন লোশন তৈরি করুন যা আপনার ত্বকের যত্ন নেবে।
ন্যাচারাল আফটার শেভ লোশন: পুরুষরা প্রায়শই তাদের ত্বকের যত্ন নেন না। শেভ করার পর তারা রাসায়নিকযুক্ত লোশন ব্যবহার করেন, যার ফলে তাদের ত্বক ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় জ্বালা-পোড়ার সমস্যাও দেখা দেয়। এর চেয়ে ভালো হয় যদি আপনি বাড়িতেই প্রাকৃতিক লোশন তৈরি করেন। আসুন জেনে নিই, কম খরচে কীভাবে ত্বক উজ্জ্বল করার লোশন তৈরি করা যায়।
ফিটকিরি, অ্যালোভেরা এবং গোলাপ জল দিয়ে তৈরি শেভ লোশন
একটি পাত্রে ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ২ চামচ গোলাপ জল মেশান। এতে এক চিমটি ফিটকিরি গুঁড়ো দিন। এটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। শেভ করার পর হালকা হাতে মুখে লাগান। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং লালচে ভাব কমায়। অ্যালোভেরা ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করে, অন্যদিকে গোলাপ জল ত্বককে সতেজ রাখে। ফিটকিরিতে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা ত্বকের কাটাছেঁড়া সারিয়ে তুলতে এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
শসা এবং অ্যালোভেরা শেভ লোশন
শসা ত্বককে ঠান্ডা করার পাশাপাশি ট্যানিং কমাতে সাহায্য করে। শসা কুচিয়ে তার রস বের করে নিন এবং তাতে ১-২ চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান। এই মিশ্রণটি শেভ করার পর মুখে লাগান এবং ১০ মিনিট পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক সতেজ ও নরম থাকে।
ত্বকে ফিটকিরি লাগান
শেভ করার পর কাটা, জ্বালা এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রাচীনকাল থেকেই ফিটকিরি (Alum) ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এতে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা ত্বককে পরিষ্কার এবং সতেজ রাখতে সাহায্য করে। আপনি ফিটকিরি জলে ডুবিয়ে রাখতে পারেন এবং শেভ করার পর হালকাভাবে ত্বকে ঘষে নিতে পারেন। আগেকার দিনে বেশিরভাগ মানুষ এটাই করতেন। মনে রাখবেন, এটি বেশিক্ষণ ঘষা উচিত নয়।
ঘরে তৈরি শেভ লোশনের উপকারিতা
বাড়িতে তৈরি শেভ লোশন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হয়, যা ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না। এগুলি সস্তা, সহজে তৈরি করা যায় এবং সব ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। বাজারে যেখানে আফটার শেভ লোশন ২০০-৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, সেখানে আপনি বাড়িতে এটি ৩০-৫০ টাকার মধ্যে তৈরি করতে পারেন।


