শীতে বেসন দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যেতেই পারে। তবে তার জন্য বেসনের প্যাকে কয়েকটি উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বককে ব্রণমুক্ত, নরম এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করবে।

শীতকালে আমাদের ত্বক আবহাওয়ার কারণে প্রচন্ড রুক্ষ এবং টানটান হয়ে থাকে। এই কারণেই প্রচুর পরিমাণে ক্রিম, অয়েলি ময়শ্চেরাইজার মাখতে হয়। এরকমভাবে ত্বকের জন্য কিছু ফেসপ্যাকও আমাদের লাগানো উচিত যাতে আমাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক তাড়াতাড়ি আবহাওয়ার জন্য রুক্ষ না হয়ে পড়ে। তাই বাড়িতে বানান কিছু ঘরোয়া প্যাক যেগুলি আপনার ত্বককে অতি সহজে হাইড্রেট ও নরম রাখতে সাহায্য করবে।

শীতকালে বেসন দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ত্বককে নরম, উজ্জ্বল ও ব্রণমুক্ত রাখতে দারুণ উপকারী। বেসন, মধু ও গোলাপ জল দিয়ে তৈরি প্যাক ত্বককে আর্দ্রতা দেয়, বেসন, টক দই ও হলুদ ত্বকের দাগ ও ব্রণ কমায়, আর বেসন ও বাদামের তেল/দুধের সর শুষ্ক ত্বককে মসৃণ করে তোলে, যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরিয়ে আনে।

১. বেসন, মধু ও গোলাপ জলের ফেসপ্যাক (শুষ্কতা ও উজ্জ্বলতার জন্য) উপকরণ: ২ চামচ বেসন, ১ চামচ মধু, পরিমাণমতো গোলাপ জল। প্রণালী: সব উপকরণ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে আলতো হাতে মাসাজ করতে করতে ধুয়ে ফেলুন। উপকারিতা: মধু ত্বককে নরম করে, গোলাপ জল টোনার হিসেবে কাজ করে আর বেসন মৃত কোষ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে।

২. বেসন, টক দই ও হলুদের ফেসপ্যাক (ব্রণ ও দাগ দূর করতে) উপকরণ: ২ চামচ বেসন, ২ চামচ টক দই, ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। প্রণালী: ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। উপকারিতা: টক দই ত্বককে আর্দ্রতা দেয়, হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে ব্রণ কমায়, আর বেসন দাগ ও ব্ল্যাকহেড দূর করতে সাহায্য করে।

৩. বেসন ও বাদামের তেল/দুধের সরের ফেসপ্যাক (গভীর আর্দ্রতার জন্য) উপকরণ: ২ চামচ বেসন, কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল (বাদামের তেল) অথবা ১ চামচ দুধের সর (ক্রিম)। প্রণালী: মিশ্রণটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন, তারপর হালকা হাতে ঘষে তুলে ফেলুন। উপকারিতা: বাদামের তেল বা দুধের সর শীতের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে গভীরভাবে আর্দ্র ও নরম করে তোলে।

* শীতে বেসন ব্যবহারের কিছু টিপস:

* পরিষ্কার ত্বক: সবসময় পরিষ্কার ত্বকে ফেসপ্যাক লাগান।

* ধীরেসুস্থে ধোয়া: ধোয়ার সময় হালকা মাসাজ করলে এক্সফোলিয়েশন ভালো হয়।

* নিয়মিত ব্যবহার: সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।

* ত্বকের ধরন: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লেবুর রস এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু বা দুধের সর যোগ করতে পারেন।