কেমিকালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং দূষণ - সব মিলিয়ে নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ হয়ে উঠছে চুল। এতে অল্প বয়সেই ঝরে পড়ছে চুল। এই সমস্যার সহজ ও প্রাকৃতিক সমাধান রয়েছে একেবারেই হাতের কাছে - ফ্ল্যাক্স সীড বা তিসি বীজ।
আজকাল সকলেই প্রায় কম বেশি চুলের সমস্যায় ভুগছেন। দায়ী কেমিকালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং দূষণ - সব মিলিয়ে নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ হয়ে উঠছে চুল। এতে অল্প বয়সেই ঝরে পড়ছে চুল। এই সমস্যার সহজ ও প্রাকৃতিক সমাধান রয়েছে একেবারেই হাতের কাছে - ফ্ল্যাক্স সীড বা তিসি বীজ।
ফ্ল্যাক্স সীড সুপারফুড। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই রয়েছে, যা চুলকে পুষ্টি জোগায়। ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে, চুল পড়া রোধ করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং স্ক্যাল্পের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। এমনকি রুক্ষ শুষ্কতার হাত থেকেও রক্ষা করে।
কীভাবে ব্যাবহার করতে পারবেন ফ্ল্যাক্স সীড?
১। হেয়ার মাস্ক বানাতে যা যা লাগবে -
* ২ চামচ ফ্ল্যাক্স সিড * ২ চামচ টক দই * ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল ব্যবহার পদ্ধতি : ফ্ল্যাক্স সীড, দই ও নার্জীল তেল একসাথে মিহি করে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এবার চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মেখে নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। পরে মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রথম দিকে সপ্তাহে ২-৩ বার করে ব্যবহার করুন। অল্প দিনের মধ্যেই কাজ দেওয়া শুরু হলে সপ্তাহে ১বার দিলেই যথেষ্ট।
স্ক্যাল্পে তেলের ব্যবহার না করতে চাইলে, ফ্ল্যাক্স সীড গুঁড়ো ও টক দই মিশিয়েও মাথার স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন।
২। তেল হিসেবে ব্যবহাত
দোকানেই কিনতে পাবেন ফ্ল্যাক্স সীড অয়েল বা তিসির তেল। এই তেলে মেথি দিয়ে ভালোভাবে ফুটিতে নিতে হবে কিছুক্ষণ। এরপর তেল ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। মাথায় এই তেল ব্যবহার করে আধা ঘন্টা রাখলেই হবে। এরপর মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রেশমের মতো সিল্কি ও হেলদি হবে চুল।


