ডিম খাওয়ার সময় এই কাজগুলো কি আপনিও করেন! মারাত্মক এই ভুলে হতে পারে বিশাল ক্ষতি
- FB
- TW
- Linkdin
ডিম খেলে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। প্রোটিনের ভালো উৎস ডিম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনি কি জানেন? ডিমে নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে।
এগুলি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। ডিমে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ফসফরাস, আয়রন, সেলেনিয়াম ইত্যাদি ভিটামিন এবং খনিজ প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলি আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।
ডিমে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলি আমাদের মস্তিষ্ক এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। ডিমে জিয়াজান্থিন, লুটেইন ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। এগুলি আমাদের চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ডিমের বিশেষত্ব হল এটি আমাদের মন থেকে শুরু করে হাড় পর্যন্ত উপকার করে। এর সুফল পেতে হলে অবশ্যই ডিম সঠিকভাবে খেতে হবে।
অনেকেই ডিম খাওয়ার সময় অনেক ভুল করে থাকেন। এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ডিম খাওয়ার সময় কোন ভুল গুলো এড়িয়ে চলতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
কাঁচা ডিম বা কম সিদ্ধ ডিম খাওয়া
ডিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু কাঁচা ডিম বা কম সিদ্ধ ডিম একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। কারণ কাঁচা ডিম বা কম সিদ্ধ ডিম খেলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
এতে বমি, ডায়রিয়া, জ্বরের পাশাপাশি ফুড পয়জনিং এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ডিম সবসময় ভালো করে সিদ্ধ করে খাবেন।
ডিমের কুসুম না খাওয়া
অনেকেই শুধু ডিমের সাদা অংশ খেয়ে থাকেন। কারণ ডিমের কুসুমে ফ্যাট বেশি থাকে এবং এটি খেলে ওজন বেড়ে যায় বলে অনেকে মনে করেন। তাই তারা ডিমের কুসুম খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে।
আপনি কি জানেন? ডিমের কুসুমে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি১২, ফোলেট ইত্যাদি থাকে। এছাড়াও লুটেইন, কোলিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে।
এগুলি আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি শুধু ডিমের সাদা অংশ খান তাহলে ডিম খাওয়ার সব সুবিধা পাবেন না।
ভুল খাবারের সংমিশ্রণ
সিদ্ধ ডিম, অমলেটের সাথে সাথে ডিম বিভিন্ন ধরণের খাবারের সাথে খাওয়া হয়। কিন্তু কিছু খাবারের সাথে ডিম একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
কারণ ভুল খাবারের সংমিশ্রণ আপনার স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি সাদা রুটির মতো উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবারের সাথে ডিম খান তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে।
এছাড়াও, চিনিযুক্ত পানীয় ইত্যাদির সাথে ডিম খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও, ডিমের পুষ্টি উপাদান আপনার শরীরে সঠিকভাবে শোষিত হবে না।
তাই ডিম খাওয়ার সময় খাবারের সংমিশ্রণের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ডিম অ্যাভোকাডো, আস্ত শস্য জাতীয় খাবার বা শাকসবজির সাথে খান। এতে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
বেশি ডিম খাওয়া
ডিম যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অতিরিক্ত ডিম খাওয়া আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এতে আপনি সুষম খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না। আপনি যদি একসাথে অনেক ডিম খান তাহলে আপনার শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যাবে।
এছাড়াও, কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে অনেকের হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আপনি যদি নিয়মিত ডিম খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। ডিমের পরিমাণ কমিয়ে দিন।