সংক্ষিপ্ত
বর্ষার অনেক সবজি আছে যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে। জেনে নিন ইউরিক অ্যাসিডের কারণে কোন সবজি খাওয়া উচিত নয়?
আপনার খাদ্যতালিকায় পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যদিও ইউরিক অ্যাসিড স্বাভাবিকভাবেই শরীর থেকে বেরিয়ে আসে, কিন্তু কখনও কখনও ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে তা স্ফটিকের আকারে জয়েন্টগুলিতে জমা হতে শুরু করে। যার কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা শুরু হয়।
ক্রিস্টাল আকারে জমা হওয়া ইউরিক অ্যাসিড জয়েন্টে ব্যথার একটি বড় কারণ। এ কারণে হাত-পা ফোলা শুরু হয়। এমতাবস্থায় খাদ্যতালিকা থেকে শাকসবজি ও উচ্চ পিউরিন যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। বর্ষার অনেক সবজি আছে যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে। জেনে নিন ইউরিক অ্যাসিডের কারণে কোন সবজি খাওয়া উচিত নয়?
উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে কোন শাকসবজি খাওয়া উচিত নয় (ইউরিক অ্যাসিড এড়াতে সবজি)
বেগুন- উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের বেগুন খাওয়া উচিত নয়। বেগুন খেলে শরীরে পিউরিনের পরিমাণ বাড়তে পারে। যার কারণে আপনার জয়েন্টগুলোতে বেশি ব্যথা ও ফোলাভাব হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের বেশি বেগুন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
গাঠি কঁচু- বর্ষার সবজির মধ্যে গাঠি কঁচুর নামও রয়েছে। গাঠি কঁচু খেতে সুস্বাদু হলেও ইউরিক অ্যাসিডের কারণে এই সবজি খাওয়া উচিত নয়। গাঠি কঁচু খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড আরও বেড়ে যায়। যার কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন।
পালং শাক- সবুজ শাক-সবজির মধ্যে পালংশাক খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে বেশি পরিমাণে পালংশাক খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। পালং শাকে প্রোটিন এবং পিউরিন উভয়ই রয়েছে, যা প্রদাহ এবং ব্যথার কারণ হতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে পালং শাক খাওয়া উচিত নয়।
বাঁধাকপি- বাঁধাকপির মৌসুম শীতকালে হলেও আজকাল ফুলকপি সারা বছরই পাওয়া যায়। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডযুক্ত রোগীদের বাঁধাকপি খাওয়া উচিত নয়। বাঁধাকপিতে পিউরিনের পরিমাণ বেশি। তাই ইউরিক অ্যাসিডের কারণে বাঁধাকপি খাবেন না।
মাশরুম- মাশরুমও বর্ষার সবজির অন্তর্ভুক্ত। মাশরুম সুস্বাদু হলেও, উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডযুক্ত রোগীর মাশরুম এড়ানো উচিত। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে।