এই প্রতিবেদনে মাত্র পাঁচ মিনিটে কাঁচা লঙ্কার আচার তৈরির একটি সহজ পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কিছু মশলা এবং সর্ষের তেল ব্যবহার করে তৈরি এই আচার বছরভর সংরক্ষণ করা যায় এবং এটি খাবারের স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে।
আচার (pickle) তৈরি করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ঝটপট আচার তৈরি করা গেলেও তা বেশিদিন টেকে না। আম, লেবু, সবজি দিয়ে আচার তৈরি করা হয়। এটি তৈরির সময় সামান্য ভুল হলে বা জল পড়লে পোকা ধরে যায়। তাই অনেকেই আচারের ঝামেলা এড়াতে বাজার থেকে কেনা আচার ব্যবহার করেন। অনেক সময় বাড়িতে কাঁচা লঙ্কা বেশি পরিমাণে থাকে। ফ্রিজে রাখলেও তা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন সময়ে আপনি বাড়িতেই কাঁচা লঙ্কার আচার তৈরি করতে পারেন। এটি তৈরি করতে খুব বেশি উপকরণ লাগে না এবং সময়ও কম লাগে। আর আপনি এটি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
কাঁচা লঙ্কার আচার:
এই কাঁচা লঙ্কার আচার আপনি মাত্র পাঁচ মিনিটেই তৈরি করতে পারেন। মশলাদার এই আচার আপনি সারা বছর ধরে রাখতে পারবেন। ঝাল-মশলার মিশ্রণে তৈরি এই আচার খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে তুলবে।
কাঁচা লঙ্কার আচার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
• ছোট বা মোটা কাঁচা লঙ্কা
• ১ চামচ আমচুর পাউডার
• ২ চামচ গুঁড়ো সর্ষে
• ১ চামচ জিরে
• ১ চামচ মেথি দানা
• ১ চামচ কালো জিরে
• হলুদ গুঁড়ো
• সর্ষের তেল
কাঁচা লঙ্কার আচার তৈরির পদ্ধতি:
আচারের জন্য ছোট এবং মোটা কাঁচা লঙ্কা ব্যবহার করা ভালো। এতে ঝাল কম থাকায় আচারের জন্য সেরা। প্রথমে লঙ্কাগুলো পরিষ্কার করে, লম্বা করে কেটে দুটি ভাগে ভাগ করে নিন। অন্যদিকে একটি প্যান গরম করে তাতে মেথি, জিরে এবং কালো জিরে দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। এতে কাটা লঙ্কাগুলো যোগ করুন। এগুলোকে ৩-৪ মিনিট ধরে ভালো করে ভাজুন। লঙ্কার মধ্যে থাকা আর্দ্রতা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে আচার অনেকদিন ভালো থাকবে।
লঙ্কা ভাজার পর গুঁড়ো সরষে বা গোটা সরষে যোগ করুন। তাতে আমচুর পাউডার, হলুদ এবং নুন দিয়ে ভালো করে মেশান। আচারের জন্য মশলা এবং সুগন্ধ খুব জরুরি। এই মিশ্রণে ২ চামচ সর্ষের তেল যোগ করার পর কিছুক্ষণ অল্প আঁচে ভাজুন। তারপর গ্যাস বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে একটি এয়ারটাইট কৌটোতে ভরে রাখুন। এই আচারে ভিনিগার যোগ করলে এটি আরও বেশিদিন টিকবে। আচার তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই আপনি এটি খেতে পারেন।
চিকেন বিরিয়ানি সহ আপনার প্রিয় খাবার হজম করতে কতক্ষণ হাঁটতে হবে?
কাঁচা লঙ্কার উপকারিতা: কাঁচা লঙ্কায় কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং হাড়কে শক্তিশালী করে। এতে ভিটামিন কে-ও রয়েছে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং হাড়কে মজবুত করে। এতে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। বিটা-ক্যারোটিন এবং লুটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও এতে রয়েছে।

