বিরিয়ানির পরে ভুলেও খাবেন না এই কয়েকটি খাবার, নাম শুনলে চমকে উঠবেন!
অনেকেই বিরিয়ানি এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস একসাথে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু, বিরিয়ানি খাওয়ার পর কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করা একেবারেই উচিত নয়।

বিরিয়ানি খাওয়ার পর আপনি কি খান?
বিরিয়ানি পছন্দ করেন না এমন কেউ আছেন কি? বিশেষ করে বাঙালি বিরিয়ানি খেতে খুবই পছন্দ করেন। চিকেন, মাটন বিরিয়ানি, ফিশ বিরিয়ানি, প্রভৃতি অনেক রকমের বিরিয়ানি রয়েছে। নিয়মিত প্রতি সপ্তাহান্তে বিরিয়ানি খাওয়া মানুষও আছেন। সুস্বাদু বিরিয়ানি খাওয়ার পরে.. কিছু ধরণের খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত। এখন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত...
১. কোল্ড ড্রিঙ্কস...
বিরিয়ানি খাওয়ার পর অনেকেই কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করতে চান। বিরিয়ানি মশলাদার এবং ঝালঝাল হয়। তাই অনেকেই কোল্ড ড্রিঙ্কসের প্রতি আকৃষ্ট হন। অনেকের কাছে বিরিয়ানি এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস একটি দুর্দান্ত সমন্বয়।
কোল্ড ড্রিঙ্কস
কিন্তু, বিরিয়ানি খাওয়ার পর কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করা একেবারেই উচিত নয়। এটি গ্যাসের সমস্যা, বদহজম, পেট ফাঁপা (Bloating), বুক জ্বালা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বিরিয়ানি গরম খাবার এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস ঠান্ডা হওয়ায় শরীরে খাবারের তাপমাত্রার ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এটি স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
২. আইসক্রিম, মিষ্টি:
কেউ কেউ বিরিয়ানি খাওয়ার পর ডেজার্ট খেতে চান। বিশেষ করে আইসক্রিম, মিষ্টি খাওয়া হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিরিয়ানিতে থাকা চর্বি শরীরে জমা হতে পারে। এরকম সময়ে আবার চিনিযুক্ত ডেজার্ট খাওয়া বদহজমের দিকে ঠেলে দেয়। এটি ওজন বৃদ্ধির কারণও হতে পারে।
৩. ফল, জুস:
কেউ কেউ বিরিয়ানি খাওয়ার পরপরই ফল খান অথবা ফলের রস পান করেন। তবে এটি শরীরের জন্য ভালো নয়। বিরিয়ানি মশলাযুক্ত একটি খাবার। ফলে থাকা ফাইবার এবং অ্যাসিড বিরিয়ানির মশলার সাথে মিশে হজম প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে।
৪. মিল্কশেক:
বিরিয়ানি খাওয়ার পর কেউ কেউ মিল্কশেক পান করার অভ্যাস করেন। তবে এটি একটি বড় ভুল। বিরিয়ানিতে মাংস থাকায়, এর প্রোটিন দুধের সাথে মিশে হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। এটি খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে।
৫. চা:
অনেকেরই খাবার পর চা পান করার অভ্যাস আছে। তবে বিরিয়ানি খাওয়ার পর চা পান না করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। চা পান করলে বিরিয়ানির আয়রন শোষণ কমে যায়। এছাড়াও, চা হজম প্রক্রিয়ায় অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গরম জল পান
সবশেষে…
বিরিয়ানি খাওয়ার পর, কমপক্ষে দুই ঘন্টা শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত। হালকা গরম জল পান করা উচিত। খাওয়া প্রতিটি খাবার এবং পানীয় সম্পর্কে সচেতন হলেই স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব। স্বাদের জন্য ছোট ছোট ভুলগুলি পরবর্তীতে বড় স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হওয়ার আগেই সতর্ক হওয়া উচিত।

