ইডলি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই! তবে এই খাবার নিয়মিত খেলে কি হয় জানেন?
- FB
- TW
- Linkdin
সকালের জলখাবারে ইডলি, দোসা, বড়া, পুরি, উপমা ইত্যাদি খাওয়া হয়। তবে অনেকের ইডলি পছন্দ হয় না। কিন্তু কেউ কেউ শুধু ইডলিই খান। সহজপাচ্য, কোনও পেটের সমস্যা হয় না, এতে কোনও তেল থাকে না বলে অনেকে ইডলি খান। শুধু বাড়িতেই নয়, হোটেলেও অনেকে ইডলি অর্ডার করে খান।
ইডলি খেতে ইচ্ছা না করলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন অবশ্যই খেতে হবে। কারণ ইডলি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। সকালের জলখাবারে ইডলি খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইডলি খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
দোসা, ইডলির ময়দা চাল, মুগ ডাল, মেথি ইত্যাদি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় যা আমাদের শরীরকে শক্তি যোগায়। এটি সারারাত বা ৮-৯ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তৈরি করা হয়। অর্থাৎ এটি দীর্ঘক্ষণ ধরে ফারমেন্ট করা হয়। এই ময়দার ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ার ফলে আমরা প্রোটিন, পুষ্টিগুণ বেশি পাই। তাছাড়া, কোনও অসুস্থতা থাকলেও এটি খাওয়া যায়। এটি অসুস্থদের জন্য সেরা খাবার।
কম ক্যালোরি
ভাত, রুটি, দোসা, পুরির তুলনায় ইডলিতে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। কারণ ইডলি সবচেয়ে সহজপাচ্য।
এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি হজমে সাহায্য করে। ইডলি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের মতো হজম সংক্রান্ত সমস্যা হয় না। এটি আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। ওজন কমাতে চাইলেও ইডলি বেশ উপকারী।
ইডলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। অর্থাৎ এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। ইডলি খেলে অতিরিক্ত স্ন্যাকস খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়।
এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। ইডলিতে আয়রনও প্রচুর পরিমাণে থাকে। অর্থাৎ এটি আপনার শরীরকে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখে।
কে কে ইডলি খেতে পারেন?
ইডলি খুব নরম। তাই যে কেউ এটি খেতে পারেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সীরা ইডলি খেতে পারেন। আপনি যদি ছোট বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান, তাহলে তারা ৬ মাস বয়সের পর থেকে ইডলি খেতে পারে।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকা বয়স্করাও শুধু সকালের জলখাবারে নয়, রাতেও নিশ্চিন্তে ইডলি খেতে পারেন। কারণ ইডলিতে থাকা ফাইবার খুব সহজেই হজম হয়। এতে মুগ ডাল থাকায় মহিলাদের পিঠের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।